বাগেরহাট পুত্র হত্যার বিচার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুত্রহারা পিতা মোজাফফার শেখ । বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় হত্যার শিকার ইয়াসিন শেখের মা কাকলী বেগম, মামা নওশের আলী ফকির, মামী হালিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোংলা উপজেলার সাহেবেরমেঠ গ্রামের মোজাফফার শেখ বলেন, প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই আমার ছেলে ইয়াসিনকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে প্রতিবেশী শহিদুল হাজারী এরশাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে শহিদুল হাজারী, মোঃ এরশাদ শেখ, মোঃ আল আমিন শেখ, ও সুরুজ বেগম আমার ছেলেকে নির্মমভাবে অত্যাচার করে।
আমরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে এরশাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ছেলের গলায় রশি দিয়ে তাদের ঘরের সামনের চালের সাথে টানিয়ে রেখেছে। পরবর্তীতে আমরা স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও পুলিশকে জানাই। ৫ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আমরা থানায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে থানায় কোন মামলা নেয় না।
প্রায় এক মাস পরে আমি বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শহিদুল হাজারী, মোঃ এরশাদ শেখ, মোঃ আল আমিন শেখ, ও সুরুজ বেগমকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)তে তদন্তভার প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে কবর থেকে আমার সন্তানের মরদেহ উঠিয়ে ময়না তদন্ত করে। যার রিপোর্ট এখনও আসেনি।
মোজাফফার শেখ আরও বলেন, কিন্তু হত্যা মামলার ১৪ থেকে ১৫ মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আসামীরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদেরকে হুমকী ধামকী দিচ্ছেন। আমি মামলা তুলে না নিলে আমাদেরকে মেরে ফেলবে। আমার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিবে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।