ময়মনসিংহে সড়ক ও জনপথের জমি অন্যের দখলে। সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে সড়কের ১০ মিটারের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু সেই সাইনবোর্ড ঘেষেই গড়ে তোলা হয়েছে একটি কারখানা।
কিন্তু সেই নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ড ঘেঁষেই স্থাপন করা হয়েছে স্থাপনা। তবুও চুপ সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ জোনের অধীন সড়ক রয়েছে মোট ২৬টি। এগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ৫০৬ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার। ২৬টির মধ্যে ৪টি জাতীয় মহাসড়ক, ৪টি আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ১৮টি জেলা সড়ক রয়েছে।
সড়কগুলো জেলার ১১টি উপজেলায় বিস্তৃত। এ সড়ক বিভাগের আওতাভুক্ত জয়দেবপুর-মাওনা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কটি ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ হয়ে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুর জেলা এবং যমুনা সেতু হয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের মাইলফলক।
কিন্তু সড়কের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় সড়ক সংকুচিত হয়ে আসছে। সড়কের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে সতর্ক বার্তা সংবলিত সাইনবোর্ড টানানো হলেও বাস্তবে কোনো কাজে আসছে না সেগুলো।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল আলম বলেন, ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের দখলদারদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেটও চাওয়া হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই উচ্ছেদ অভিযান চলবে। এবং অচিরেই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।