November 23, 2024, 11:48 pm
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

আজ ৮ডিসেম্বর ঝালকাঠি হানাদার মুক্ত দিবস!

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২০
  • 410 দেখুন

আজ ৮ই ডিসেম্বর,ঝালকাঠি হানাদার মুক্ত দিবস।‘৭১ এর এই দিনে ঝালকাঠি মুক্তাঞ্চলে পরিনত হয়েছিল। বিজয়ীর বেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করে। জেলার সর্বত্র আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি শুরু হয় বিভিন্ন গণকবর আর বধ্যভূমিতে হারানো স্বজনের লাশ খোঁজার পালা।

মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছে, ‘৭১ এর ২৭ এপ্রিল ভারী কামান আর মর্টার শেল এর গোলা নিক্ষেপ করতে করতে পাক হানাদার বাহিনী ঝালকাঠি শহর দখলে নেয়। তারা দ্বিতীয কলকাতা খ্যাত বাণিজ্য বন্দরে আগুন লাগিয়ে দেয়, পুড়ে ছাই হয়ে যায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এরপর থেকে পাক বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর আর আল শামসের সহায়তায় ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা জুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুট আর আগ্নি সংযোগসহ নারকীয় নির্যাতন চালায়।

জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ বাঙ্গালীদের ধরে এনে পালবাড়ী টর্চার সেলে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন চালানোর পর সুগন্ধা তীরবর্তী পৌরসভা খেয়াঘাট এলাকায় সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করত। এখানে কমপক্ষে ১০ হাজার লোককে হত্যাকরা হয়। এছারা জেলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও বাঙ্গালীদে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। জেলায় সংঘটিত যুদ্ধ গুলোর মধ্যে রাজাপুর থনা দখল, নলছিটি থানা দখল, বেশাইনখানের যুদ্ধ, মাদ্রার যুদ্ধ,পেয়ারা বাগানের যুদ্ধ এবং চাচৈর রানাঙ্গনের সম্মুখ যুদ্ধ ছিল উল্লেখ যোগ্য।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ৭ ডিসেম্বর শহরে কারফিউ জারি করে রাতের আঁধারে পাক বাহিনী ঝালকাঠি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা ঝালকাঠিকে হানাদার মুক্ত করে। এ পর্যন্ত জেলায় ২১টি বধ্যভূমি ও গণকবর আবিস্কৃত হলেও সরকারী ভাবে সেগুলো সংরক্ষনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102