ময়মনসিংহের পাগলায় শারফুল ঢালী (২৮) নামে এক প্রবাসী ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মা, বাবা ও ভাই। এ ঘটনায় মা হোসনে আরাকে (৪৭) আটক করেছে পুলিশ। নিহত শারফুল ঢালী উপজেলার চাকুয়া গ্রামের ইসহাক ঢালীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এর আগে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামে শারফুল ঢালীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মা, বাবা ও ভাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, মা হোসনে আরাকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, উপজেলার চাকুয়া গ্রামের ইসহাক ঢালীর ছেলে শারফুল দীর্ঘ ৮ বছর লেবাননে ছিলেন। সেখানে ভালো বেতনে চাকরি করতেন। প্রায় ছয় মাস আগে শারফুল দেশে ফিরে আসেন।
প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় আয়-রোজগারের সব টাকা তার বাবা ইসহাক ঢালীর নামে দেশে পাঠাত। দেশে ফিরে টাকার হিসাব চাইলে বাবা ইসহাক ঢালী টাকার হিসাব দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং টাকা ফেরত দিবে না বলে জানায়। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
ঘটনার দিন সকালে টাকা পয়সা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বাবা ইসহাক ঢালী, মা হোসেনা আরা, ছোট ভাই আশরাফুল ঢালী লোহার রড ও শাবল দিয়ে শারফুল ঢালীকে পিটিয় হাত পা ভেঙ্গে গুরুতর আহত করে বসত ঘরের একটি রুমে তালাবন্ধ করে রাখে।
শারফুল ঢালীকে মারার সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করতে গেলে ইসহাক ঢালী, হোসনে আরা, আশরাফুল ঢালী রড, শাবল ও রামদা দিয়ে এলাকাবাসীকে তাড়া দেয়। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শারফুলকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে মারা যায়।