মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানীর ১০৪ তম জন্মদিন পালন করেছে বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব।
বুধবার (১সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারস্থ ক্লাবের কার্যালয়ে জন্মদিন উপলক্ষে আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি সর্দার আজিমুল হক স্বপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমেদ আরজু’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,মডেল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি জীবন আহমেদ লিটন,সহসভাপতি দেওয়ান শোয়েব রাজা,কোষাধ্যক্ষ আব্দাল মিয়া,দফতর সম্পাদক তানজিল হাসান সাগর,কার্যকরি কমিটির সদস্য রায়হান উদ্দিন সুমন,ইমতিয়াজ আহমেদ লিলু প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর জীবন-কর্ম ও নানাবিধ কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন। প্রসঙ্গত, ১৯১৮ সালের এই দিনে তিনি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল এম আতাউল গণি ওসমানী। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর তিনি ৭০-এর নির্বাচনে সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকার এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি করা হয়। যুদ্ধের কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন। বিচক্ষণতার সঙ্গে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন তিনি।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এম এ জি ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে সমাহিত করা হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত বাংলার এই বলিষ্ঠ সেনানী বাঙ্গালি জাতিসত্তার অভ্যুদয়ের অন্যতম মহানায়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান সিপাহসালার ছিলেন। তার সম্মানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, ওসমানী বিমানবন্দর ও নগরের ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায় ওসমানী শিশু পার্ক ও ওসমানী জাদুঘর রয়েছে।