হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঝুকিপূর্ণ টিনের ঘরে ২০ বছর ধরে চলছে কাসিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম। এই ঝুকিপূর্ণ ভবনের মধ্যেই পুলিশ সদস্যরা দাফতরিক কার্যক্রম ও বসবাস করছেন সামান্য বৃষ্টি এলেই টিন ছিদ্র হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। কাল বৈশাখী ঝড় এলে টিনের ঘর কাঁপে থরথর করে। সরকারি কোন নিজস্ব ভবন না থাকায় বাধ্য হয়েই পুলিশ সদস্যরা ঝুকিপূর্ণ ঘরে বসবাস করছেন পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায় প্রায় ২০ বছর আগে মাধবপুর দক্ষিণা ঞ্চলের কাসিমনগর রেলষ্টেশনের কাছে ইউনিয়ন পরিষদে পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে পুলিশ ফাঁড়ির যাত্রা শুরু হয়।
শুরুতে জনবল ছিল ছিল ৪/৫ জন এখন পুলিশ পরিদর্শক উপপরিদর্শক সহকারী উপপরিদর্শক ও কনষ্টেবল সহ জনবল রয়েছে প্রায় ২০ জন। এত সংখ্যক পুলিশের আবাসিক কোন সুবিধা নেই। পুলিশ সদস্যরা ঝুকিপূর্ণ টিনের ঘরেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে। টয়লেট সহ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুব নাজুক। কাসিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক উত্তম কুমার দাশ বলেন, ফাঁড়ি নির্মাণের জন্য ভুমি পাওয়া গেলেও ভৌগলিক কারণে ওই স্থানে ফাঁড়ি নির্মাণের জটিলতা দেখা গিয়েছে এখন এলাকবাসী ফাঁড়ি করার জন্য কেউ জমি দিলে ফাঁড়ি নির্মাণ করা সম্ভব
অন্যথায় সরকারি অথ্যায়নে জমি ক্রয় করে ফাঁড়ি নির্মাণ করা সম্ভব এখন পুরাতন ভবনে খুব কষ্ট করে পুলিশ সদস্যদের থাকতে হচ্ছে, এখানে থাকার মত উপযুক্ত কোন পরিবেশ নেই বহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান আরিফ বলেন মাধবপুর দক্ষিণাঞ্চল এক সময় অপরাধের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল কিন্তু ফাঁড়ি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ওই এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু ফাঁড়ির অবকাঠামোগত অবস্থা খুবই খারাপ। পুলিশের একটি আধুনিক ভবন হলে উন্নত পরিবেশে পুলিশ কাজ করতে পারত এবং জনগণ এর সুফল পাবে।
মাধবপুর চুনারুঘাট সার্কেলের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ বলেন, কাসিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির অবস্থা খুব সুবিধাজনক নয়। ওই এলাকায় ফাঁড়ি করার জন্য আমরা জমি খুজছি। জমি পেলেই সরকারি ভবন নির্মাণ করে ফাঁড়ি স্থানান্তর করা হবে তাহলে পুলিশ সদস্যদের কষ্ট দুর হবে।