ময়মনসিংহের নান্দাইল পাষণ্ড শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুকে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের নূরুল ইসলাম (৬০) নামে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ পূর্বে ওই গ্রামের মৃত সহা মিয়ার পুত্র শিক্ষক নূরুল ইসলাম আট বছরের শিশুকে আমড়া খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ঘরে নিয়ে যৌনচারিতা করে। শিশুটির বাবা একজন রিকশাচালক। যৌনচারিতার কারণে শিশুটি নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও হাঁটা-চলা করতে পারছে না।
বিষয়টি শিশু নিজেই প্রতিবেশী এক শিশুকে বলার সময় ১১ বছর বয়সী তার ভাই শুনে তার মাকে বিষয়টি জানায়। এতে শিশুটির মা শিক্ষকের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানালে উল্টো গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। রোববার শিশুটির বাবা বাড়িতে আসলে তার মা বিষয়টি খুলে বলে। এমনকি তারা উক্ত শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করলেও তারা বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু শিক্ষকের পরিবার,পরিজন শিশুটির বাবাকে প্রথমে ৩ হাজার পরে ৫ হাজার টাকা নিয়ে চুপ থাকতে বলে।
এদিকে সোমবার শিশুটির বাবাকে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে বিস্তারিত জেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক নান্দাইল থানায় অবহিত করেন। সোমবার রাতে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসার জন্য শিশুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যন জানান, লোকমুখে ঘটনা শুনেছেন।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি ওবায়দুর রহমান জানান, শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।