শীতে কাঁপছ উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম।এ অঞ্চলের উপর দিয়ে মাস জুড়েই বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ।গত কয়েক দিন ধরে বাঘের হার কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত এ জনপদে হঠাৎ শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।চলমান কনকনে ঠান্ডা অপরদিকে বৃষ্টির কারনে ভোগান্তিতে পরেছে নিম্ন আয়ের মানুষজন ব্যাহত হয়ে পরেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়, থেমে থেমে মেঘের গর্জন বর্ষার আমেজ নিয়ে আসে প্রকৃতিতে। বৃষ্টির কারণে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। কয়েকঘণ্টা টানা বৃষ্টির কারণে শ্রমজীবী মানুষ কাজে যেতে পারেনি। বিশেষ করে দিনমজুর, মিস্ত্রি ও নির্মাণ শ্রমিকরা ঘর থেকে বের হতে পারেনি। রাস্তাঘাটে যানবাহন ও লোক চলাচল ছিল কম। বিপাকে পড়েছে দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল রিকশা ও ভ্যান চালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষরা।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের শমসের আলী জানান, মাঘের মাঝামাঝি বৃষ্টির কারণে রাস্তায় রিকশা চলা যাচ্ছেনা যাত্রীও নেই। সকাল থেকে বসে আছি রাস্তায় কোন মানুষের দেখা নেই।
ফেরি করা সবজি বিক্রেতা নুর মোহাম্মদ জানান,আমি সবজি ক্ষেত বর্গা নিয়ে তা বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করি।জমি থেকে সকালে সবজি তুলেছি।কিন্তু বৃষ্টির কারনে কোথাও যেতে পারছি না।সারাদিন যদি এরকম বৃষ্টি পড়তে থাকে তাহলে আমার ক্ষতি হবে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে আলু ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণের শঙ্কা দেখা গিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় আলুতে লেট ব্রাইট বা ছত্রাকের আক্রমণ দখা দিয়েছে।
সদর উপজেলার শিবরাম গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, গত কয়েকদিনের টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে তার আলু ক্ষেতে মড়ক দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে মড়ক আরো বাড়ে কীনা এই নিয়ে চিন্তিত তিনি।
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, আলু চাষীদের এই বৈরী আবহাওয়া সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে এবং একসঙ্গে একাধিক ওষুধ স্প্রে করে ছত্রাকের আক্রমণ ঠেকাতে হবে।
এদিকে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় ১১ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।