পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় খাস জমিতে ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজিবির আপত্তিতে নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বুড়াবুড়ি এলাকার খাস জমিতে আশ্রয়নের ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে যায় প্রশাসন ও বিজিবি।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ৪৫০ ভূমিহীনের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই তালিকায় বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের রয়েছে ৩৫ জন ভূমিহীন পরিবার। তাদের মধ্যে ছয়টি পরিবারকে খাস জমি বরাদ্দ দেওয়া হয় বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ডাহুক নদী সংলগ্ন এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্থানে ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা।
এদিকে সেখানে বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের জমি রয়েছে বলে দাবি করছিল পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। সকাল থেকে সেখানে বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নিয়ে কাজে আপত্তি জানায়। এক পর্যায়ে পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সালেহ আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখতে বলেন। তাদের আপত্তিতে নির্মাণ কাজ স্থগিত করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেন, ‘বিজিবির জায়গা পাশেই রয়েছে। এরপরও তারা কেন আপত্তি করছে, মাথায় আসে না। আমরা খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করছি। এর আগেও এখানে ছয়টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এখন তারা কাজ স্থগিত করে সমন্বয়ের কথা বলছে। এই বিষয়টি তাদের আগে জানানোর দরকার ছিল।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা খাস জমিতে ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলাম। অন্য কোথাও খাস জমি না পাওয়ায় ওই স্থানটি বেছে নেওয়া হয়। সরকারিভাবে ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে সরকারি কোনো সংস্থার বাধা আমরা প্রত্যাশা করিনি। বিজিবির আপত্তির কারণে আপাতত কাজটি স্থগিত রাখা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিজিবির সহযোগিতা কামনা করেছি। আশা করি সকল জটিলতা কাটিয়ে শিগগির আমরা আবার কাজ শুরু করতে পারবো।
এ বিষয়ে পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সালেহ আহমেদ বলেন, এটা আমাদের অফিসিয়াল বিষয়। তাই আমি এ নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করবো না।