দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজ্জাম্মেল হক খান বলেছেন, স্কাউট একজন শিক্ষার্থীকে স্মার্ট, সাহসী, বিনয়ী ও সুশৃঙ্খল করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। স্কাউট আন্দোলন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষামূলক আন্দোলন। এই আন্দোলনকে আরও গতিশীল করতে হবে। স্কাউটিং শিক্ষা কার্যক্রমেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষার পাশাপাশি সৎ, চরিত্রবান, আত্মপ্রত্যয়ী, স্মার্ট ও সুশৃঙ্খল নাগরিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্কাউট আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি আরও বলেছেন, তরুণদের স্কাউটে সম্পৃক্ত করতে পারলে তারা অন্যায়, মাদক, সন্ত্রাসসহ সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবে এবং আত্মপ্রত্যয়ী ও বিনয়ী হবে। দুর্যোগের সময়ে স্কাউট ফাউন্ডেশন এগিয়ে আসে। স্কাউটিং একজন তরুণকে সব ধরনের পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানব-দরদী হতে শেখায়। বাংলাদেশে প্রায় ২৩ লাখ স্কাউট সদস্য রয়েছে। সরকার এই ফাউন্ডেশনকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে।
শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে মনোহরদী উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ স্কাউট মনোহরদী উপজেলা শাখা আয়োজিত উপজেলার স্কাউট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্কাউট নরসিংদী জেলার সভাপতি নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ স্কাউট মনোহরদী উপজেলা শাখার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ স্কাউটের জাতীয় উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন) মো. মঈন উদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ স্কাউটের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কে এম সাইদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুল্লাহ আল জাকী , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) অনির্বাণ চৌধুরী, নরসিংদী জেলার স্কাউট সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন নাজির, মনোহরদী উপজেলা স্কাউট সাধারণ সম্পাদক মো. মুজতবা হোসেন জুয়েল।
এছাড়াও মনোহরদী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান, নরসিংদী জেলা স্কাউটের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এ.টি.এম আশরাফুল আলম, উপজেলার শিক্ষক, স্কাউট কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।