ফজলুল করিম ফারাজী, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামায়।ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বৃদ্ধি সহ প্রচন্ড স্রোত দেখা দেয়। এতে নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলের মানুষ ।১৮ জুন বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা,নওয়াবস।
মোগলবাসা ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর মুন্সিপাড়া চর সিতাইঝাড় ও উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আকেল মামুদ কবিরাজপাড়া, মিয়াজী পাড়া, আফতাবগঞ্জ, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সরকারপাড়া, উত্তর বালাডোবা,দক্ষিন বালাডোবা, ফকিরের চর, মশালের চর।
বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের চর ফকির মোহাম্মদ সহ নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের শুরু হয়েছে। এতে আবাদি জমি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আবাদী জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেকে।এছাড়াও চর কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন ধরলা নদী ভাঙ্গনের মুখে।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন চলছে বিষয়টি আমি সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়েছি এবং উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করিয়াছি।
স্থানীয় আহাদ আলী, নুর আলী, শমসের আলী, সাদেক আলী ও এনামুল হক সহ বেশ কয়েকজন জানান, গত তিনদিনের ভাঙ্গনে প্রায় ৫ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকের বসতভিটা বিলীন হওয়ায় পরিবারের লোকজন সহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদের ভাঙ্গন পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে।