রংপুর – ঢাকা জাতীয় মহাসড়ক এর বুক চিরে গড়ে ওঠা একটি উপজেলার নাম গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা। উপজেলা শহরের উত্তরে রংপুর – দক্ষিনে ঢাকা, পশ্চিমে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ও উত্তরে গাইবান্ধা জেলা শহরের প্রবেশ পথ।পলাশবাড়ীর সীমানায় চারটি রাস্তা একই স্থানে সমন্বয় হওয়ায় চৌমাথা নামে পরিচিত অর্জন করেছে।
পলাশবাড়ী চৌমাথা থেকে ১০০ গজের মধ্যে,উপজেলা পরিষদ,সোনালী ব্যাংক, থানা ভবন,সাব- রেজিষ্ট্রার অফিস, পিয়ারি পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, মহিলা ডিগ্রি কলেজ,এস এম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,ইউনিক কিন্ডারগার্টেন,প্রেস ক্লাব, ৩০০/৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে উপজেলা পরিষদ,সোনালী ব্যাংক,জনতা ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, সরকারি কলেজ,বঙ্গবন্ধু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,এসএমবি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,শিশু কানন স্কুল, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,স্টুডেন্ট কেয়ার স্কুল, এবং গ্রীন ফিল্ড ইন্টার ন্যাশনাল স্কুলসহ জনগুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালত স্কুল কলেজ ও এনজিও প্রতিষ্ঠান।
প্রতিনিয়ত যেমন রংপুর – ঢাকা মহাসড়কে পাল্লা দিয়ে চলছে শতশত বাস ট্রাক সিএনজি ভটভটি নসিমন,করিমন ট্রাক্টর । তেমনি গাইবান্ধা ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে ও চলছে উল্লেখিত যানবাহন। ফলে প্রতিনিয়তই চৌমাথা মোড়ে যানজট লেগেই থাকে।
যানযটের কথা বিবেচনা করে চৌমাথা মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা হলে ও জনদুর্ভোগ কিছুতেই কমছেনা। দুঃখ জনক হলে ও সত্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ পথ চারিরা চৌমাথা মোড় পারাপারের জন্য একটি ওভার ব্রীজ ছিল পলাশবাড়ীবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী।
কোন সরকার প্রধান, মন্ত্রী কিংবা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা এ উপজেলায় সফর করলেই পলাশবাড়ী বাসীর পক্ষ থেকে চৌমাথায় ওভার ব্রীজ নির্মানের দাবী করা হয়। সবাই আশ্বস্ত করলে ও কেউ কথা রাখেনি!!এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় গত এক বছরে এ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৩৬ জন যাত্রী ও পথ চারী নিহত হয়েছে।
হাজারো শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পলাশবাড়ী উপজেলায় জনগুরুত্বপূর্ণ চৌমাথা মোড়ে একটি ফুট ওভার ব্রীজ নির্মানের জন্য দাবী জানিয়েছেন সচেতন পলাশবাড়ীবাসী।।