বা’গেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা’র নির্বাচন, বর্তমান মেয়র জুলফিকার আলীর অপসা’রণ ও প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে মোংলা পৌরসভা’র বা’সিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইস্রাফিল ইজা’রাদার এ সংবা’দ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ ইস্রাফিল ইজারাদার বলেন, ২০১১ সালের নির্বাচনে জুলফিকার আলী মোংলা পোর্টের মেয়র নির্বাচিত হন।তার মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হওয়ার কিছু দিন আগে ভুয়া সীমানা জটিলতা দেখিয়ে মেয়র সমর্থিত সুবিধাভোগী লোক দিয়ে মামলা করে পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ করে রাখেন।
জুলফিকার আলীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন করার জন্য চিঠি দিয়েছেন।সীমানা জটিলতাসহ অন্যান্য বিষয়ের উপর সকল মামলা উ”চ আদালত থেকে খারিজ হলেও নির্বাচনের কোন উদ্যোগ নেয়নি কমিশন।পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে অতিদ্রুত পৌরসভার বর্তমান মেয়কে অপসারণ ও প্রশাসক নিয়োগ করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
মোঃ ইস্রাফিল ইজারাদার আরও বলেন, মোংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী প্রথম শ্রেণির মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর থেকে জনগণকে কুক্ষিগত করে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।আমরা জনগণের ভোটের অধিকার চাই।
এদিকে মোংলা পোর্ট পৌরসভা’র মেয়র বিএনপি নেতা জুলফিকার আ’লী তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে উত্তাপিত এ সব অভিয়োগকে মিথ্যা,ভি্িওহীন ও কল্পনাপ্রসুত দাবী করে জানান,আ’মার মেয়াদ কালেই মেরিনড্রাইভ সড়কসহ মোংলা পৌরসভায় শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে।
২৪ ঘন্টায় দুবার তলিয়ে যেতো রাস্তা ঘাটসহ পৌরসভার নিম্মাঅঞ্চল, ছিলোনা সুপিয় পানির ব্যবস্থা।আমি এ সমস্যার সমাধান করেছি।মোংলা আজ প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা। আমি বা আমার কাউন্সিলারা কখনো কোন দূর্নিতীর আশ্রয় নেয়নি।
আমি বিএনপির নেতা হওয়ায় দূর্নীতি করলে আমার বিরুদ্ধে দূদকসহ কোন মামলা দূর্নীতির করেনি কেন ? আমিও মোংলা পৌরসভার নির্বাচন চাই।আমার জনপ্রিয়তায় ইন্সানিত হয়ে মেয়র পদে র্নিবাচন করতে ই”ছুক মুক্তিযোদ্ধা ইস্রাফিল ইজারাদার সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে দাবী করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র।