পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিকলির হাওড় ভ্রমনে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পিতা-পুত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরো ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
নিহতরা হলো শেরপুর জেলার শ্রীবরদী এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক ফাহাদ আলম (৩২) এবং তাঁর শিশু পুত্র তোরান (৫)। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল
উপজেলার ডাংরি নামক স্থানে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংর্ঘষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার সকালে শ্রীবরদী এলাকার বাসিন্দা ফাহাদ আলম তাঁর স্ত্রী, সন্তান সহ পরিবারের ১৪ সদস্যকে নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকনি হাওড়ে ঘুড়তে যাচ্ছিল। পথে নান্দাইল উপজেলার ডাংরি এলাকায় হাইওয়ে থানার কাছে সড়কে মরা কুকুরকে পাশকাটিয়ে যাওয়ার সময় পিকআপের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংর্ঘষ ঘটে।
এতে মাইক্রোবাস যাত্রী স্কুল শিক্ষক ফাহাদ আলম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ফাহাদের পুত্র তোরনকে নান্দাইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় গাড়ীতে থাকা আরো ১২ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত ফাহাদের ভাই হোসেন আহম্মদ জানায়, দুর্ঘটনার স্থানে একটি মরা কুকুর পড়ে ছিল। সেই কুকুরটিকে পাশকাটিয়ে যাওয়ার সময় বিপরিত দিক থেকে একটি পিকআপ আসে।
এসময় দুটি গাড়ী মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। পরে আর কিছু মনে নেই। কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরে পেয়ে দেখতে পাই আমি হাসপাতালে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, হাইওয়ে থানার সামনে মরা কুকুরটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত দুই দিন আগে কুকুরটি গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। এরপর মরা কুকুরটিকে রাস্তা থেকে সরানো হয়নি।
নান্দাইল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল হক ২ জনের মৃত্যু এবং ১২ জনের গুরুতর আহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। মরা কুকুরের বিষয়ে তিনি বলেন, গতকাল কুকুরটি গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে। মারা যাওয়া স্থানেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।