ময়মনসিংহের ত্রিশালের গন্ডখলা গ্রামের হত দরিদ্র সজল মিয়ার ৬ বছর বয়সী শিশু পুত্র সালমান দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত । তার চিকিৎসায় ইতিমধ্যে শেষ সম্বল থাকার ঘরটিও বিক্রি করে দিয়েছে তার বাবা-মা।সামান্য আয়ের গার্মেন্টস কর্মী তার মা সালমানের চিকিৎসা ও সংসারের সদস্যদের ভরন পোষন করে ক্লান্ত হয়ে গেছেন।
বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের নজরে আসে। ইউএনও শিশুটির খোঁজ খবর নিতে বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের সভাপতি খায়রুল আলম রফিককে আহবান করেন। সাংবাদিক রফিক এক মানবিকতার নজির গড়লেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যে শিশুটির পরিবারকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাশে দাঁড়চ্ছেন অনেকেই ।
ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ, ডিবি’র ওসি শাহ কামাল আকন্দ (পিপিএম), সমাজ সেবক শাহ এহসান হাবিব, ৮ নং সাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাক্তার আব্দুল আজিজসহ বিত্তবানরা সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন।
সরেজমিনে শিশু সালমানকে দেখতে যান খায়রুল আলম রফিক । লক্ষ্য করেন, শিশুটিতে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন । কিন্তু অভাবের সংসারে যথাযথ চিকিৎসা করার মতো টাকা নেই বাবা-মার।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপে কয়েক মাস ধরে লকডাউনের জেরে সালমানের পরিবারে অর্থাভাব আরও বেড়েছে। তাই ছেলের চিকিৎসার জন্যও টাকা জোগাড় করতে পারছেন না তাঁরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে সাহায্য চান খায়রুল আলম রফিক । পোস্টটির পর অসহায় পরিবারের পাশে অনেকেই দাঁড়াবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
অসহায়দের বিপদের দিনে তাঁর এমন উদ্যোগের কারণে অনুরাগীরদের কাছে আবারও ভালোবাসার পাত্র হয়ে উঠেছেন তিনি।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিশুটির সুচিকিৎসায় সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি নিজেও সহযোগীতা করছেন বলে জানান. ইউএনও।
শিশুটির মায়ের মোবাইল নং-01737505065