|
গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া লাগেনি
নির্দেশ ছাড়া অনুসন্ধান-মামলা হয় না স্বাধীন দুদকে
|
|
![]() বিডি ২৪ নিউজ অনলাইন: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নামেই স্বাধীন। প্রকৃতপক্ষে এখনও পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে পারেনি রাষ্ট্রীয় সংবিধিবদ্ধ এ প্রতিষ্ঠানটি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়লেও পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগেনি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। সংস্থাটি কাগজে-কলমে স্বাধীন থাকলেও ওপর মহলের নির্দেশনা ছাড়া এখনও এক পা-ও নড়তে পারছে না। অভিযোগ রয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওপরের নির্দেশ ছাড়া চলেনি তৎকালীন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ কমিশন। পট পরিবর্তনের পর সরকারি কোনো আমলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সংস্থাটি। শুধু ওপরের নির্দেশে পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও মামলায় সীমাবদ্ধ রয়েছে দুদকের কার্যক্রম। এমনকি খোদ দুদকের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ থাকার পরও ব্যবস্থা নেয়নি। এখনও পতিত সরকারের আমলে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন সংস্থাটিতে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগেও প্রায় অর্ধশত প্রভাবশালী ব্যক্তির অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে স্বাধীন দুদক তখন কিছু করার সাহস পায়নি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ওইসব প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ইতিমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও মামলা করেছে সংস্থাটি। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক এমপি ও তাদের সন্তান ও স্ত্রী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এসব প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছিল দুদক। কিন্তু সরকারের দিক থেকে ইশারা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানই করা হয়নি। অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকার পরও যারা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি দুদক। ওই তালিকায় সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন শাজাহান খান, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, গাজী গোলাম দস্তগীর, আবদুর রহমান ও জিল্লুল হাকিম। সাবেক প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন মাহবুব আলী, মেহের আফরোজ চুমকি, এনামুর রহমান, নসরুল হামিদ ও শরীফ আহমেদ। সাবেক এমপিদের মধ্যে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, অসীম কুমার উকিল, মানু মজুমদার, সোলায়মান হক জোয়ার্দার, ইকবালুর রহিম, রণজিৎ কুমার রায়, শফিকুল ইসলাম (শিমুল), গোলাম ফারুক, নাঈমুর রহমান (দুর্জয়), এইচ এম ইব্রাহিম, মো. সাইফুজ্জামান (শিখর), রাশেদুল মিল্লাত, হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, শওকত হাচানুর রহমান, আবদুল আজিজ, আনোয়ারুল আশরাফ খান, দিদারুল আলম ও এইচ বি এম ইকবাল। এ তালিকায় বিএনপির সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেনের নাম ছিল। এ ছাড়া প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুরের নাম ছিল। আওয়ামী লীগের এসব প্রভাবশালী মন্ত্রী-নেতার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলের অভিযোগ রয়েছে। তাদের কেউ কেউ টাকা পাচার করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও কানাডায় একাধিক বাড়ি করেছেন। এ ছাড়া কারও কারও বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের হাজার কোটি টাকা লোপাট, প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ আমলে সরকারি অনেক আমলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দুদকে জমা পড়লেও তাদের বিষয়েও অনুসন্ধান বা মামলায় যায়নি প্রতিষ্ঠানটি। কারণ তাদের বিরুদ্ধে ওপরের কোনো অনুমোদন নেই। যদিও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের একটি নির্দেশনা রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির আয়ের উৎস, আর্থিক লেনদেন, ভিন্ন নামে করা সম্পদের তথ্য যাচাই, বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাশি করতে হয়। কিন্তু অনুসন্ধানের অনুমতি দিচ্ছে না দুদক কমিশন। দুদকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে যেমনভাবে দুদকের কার্যক্রম চলত, ঠিক এখনও একইভাবে চলে। কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখনও ওপরের নির্দেশ ছাড়া কোনো অনুসন্ধান বা মামলা হয় না সংস্থাটিতে। এমনকি পতিত আওয়ামী লীগের আমলে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারাও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এতে স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিত করা যেমন কঠিন হবে, তেমনই সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশও বাস্তবায়ন করা যাবে না। পুরোনো পথেই হাঁটছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এখনও সংস্থাটিতে একের পর এক প্রেষণে নিয়োগ পাচ্ছেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এখনও আলোচিত দুর্নীতির মামলায় আসামি হয়েও উপসচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা পরিচালক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা থেকে প্রেষণে আসা অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এখনও তদবির চলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। অনেক কর্মকর্তা তদবির করেই আছেন। আইন থাকলেও তার কোনো কার্যকারিতা নেই। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটি (যাবাক) প্রশাসন ক্যাডারের তিন কর্মকর্তাকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছিল। সরকার পতনের পর যাবাক পুনর্গঠন করা হলেও তাদের আধিপত্য বহাল রয়েছে। যদিও দুদকের বিধিতে বলা আছে, প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনধিক ৩ বছর থাকতে পারবেন। তিন বছরের অধিক হলে তারা নিজ সংস্থায় ফেরত যেতে বাধ্য। অথচ অনেক কর্মকর্তা প্রেষণে যোগদানের পর পদোন্নতি পেয়েছেন। আবার বছরের পর বছর দুদকের শীর্ষ পদগুলোয় বহালও রয়েছেন। এমনকি তাদের কেউ কেউ আট বছর ধরে দুদকে কর্মরতÑএমন নজিরও রয়েছে, যা দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি নং ০৮(২) (ক)-এর সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। দুদকের একাধিক সূত্র বলছে, গত বছরের ৫ আগস্ট পতিত আওয়ামী লীগের পতনের পর বিভিন্ন সরকারি অফিসের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অনেক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত, অনেককে ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু দুদকে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা এখনও বহাল তবিয়তে। এ কর্মকর্তারা পতিত সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আমলাদের দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল বছরের পর বছর ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। অনেকের দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল যাচাই-বাছাই পর্যায়েই বাতিল করা হয়েছে। পট পরিবর্তনের পর নতুন কমিশন দায়িত্ব নিলেও প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের সরানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সংস্থাটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বললেও বাস্তবে তা হয়নি। গত ৬ জানুয়ারি মহাপরিচালক (প্রশাসন) পদে আবু হেনা মোর্শেদ জামান, ১১ জানুয়ারি ঈশিতা রনিকে পরিচালক পদে (জাবাক সদস্য), একেএম সাইফুল আলমকে চেয়ারম্যানের পিএস, ৫ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ ইকবাল বাহারকে পরিচালক (প্রসিকিউশন) হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মো. আমিন আল পারভেজ ও মো. কামরুজ্জামানকে প্রেষণে দুদকে বদলি করা হয়। তারা সবাই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। দুদকের পরিচালক ফজলুল জাহেদ পাভেল আছেন ছয় বছর। উপ-পরিচালক সাবরিনা নার্গিস আট বছর, উপ-পরিচালক একেএম মাহবুবুর রহমান আছেন সাত বছর। তারা প্রেষণে বদলি হয়ে দুদকে আসেন। যেখানে অর্থ আত্মসাৎ ও জালজালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যেখানে অন্যান্য আসামির সঙ্গে আমিন আল পারভেজ এখন কারাগারে থাকার কথা। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে তিনি দুদকের পরিচালক। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩ হাজার ৬৬টি। এরমধ্যে বিচার চলমান মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৮৩০। উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত মামলার সংখ্যা ২৩৬। ১৯টি মামলায় সাজা হয়েছে। মামলায় খালাস পেয়েছে ২০টি। মোট নিষ্পত্তি হওয়া মামলার সংখ্যা ৩৯টি, যা চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বিচার চলমান মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৮৩৩। উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত মামলার সংখ্যা ২৩৬। মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩ হাজার ৬৯। এরমধ্যে সাজা হয়েছে ৮টি ও আর খালাস দেওয়া হয়েছে ৮টি মামলার। গত জানুয়ারি মাসে মামলার মোট নিষ্পত্তির হার শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মোট মামলা হয়েছে ৭৭৩টি। ওই মাসে মাত্র ৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২০১৪ সালে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬টি। এরমধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত মামলার সংখ্যা ২৩৭টি। আর বিচার চলমান রয়েছে ২ হাজার ৮২৯টি মামলা। ইতিমধ্যে ১৫ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য ও গত সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আমলা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া ১ হাজার ৮৯৪টি অভিযোগের। এ ছাড়া সংস্থাটির তফসিলভুক্ত অপরাধ না হওয়ায় ৬ হাজার ৭৬৭টি অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। তবে ৪৯৫টি অভিযোগ বিভিন্ন দফতরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে ৯ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তারা দুদকের চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে গণমাধ্যমকে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা কিছু অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে এসেছি। অভিযোগগুলো অতিগোপনীয়। আর সারজিস আলম বলেন, অতীতে দুদককে ব্যবহার করে অনেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অনেক সাধারণ মানুষকে আবার বিনা অপরাধে হয়রানি করা হয়েছে। এ সময়ে এসেও এখন আমরা সেটি প্রত্যাশা করি না। আমাদের কিছু অভিযোগ ছিল, সেটি আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। তবে দুদক সূত্র জানিয়েছে, এনসিপির দুই নেতা বিএনপির কয়েকজন প্রভাশালী নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সরকারি আমলার নামও সেখানে রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে দুদক এমন কোনো নির্দেশনা যখন পাচ্ছে তখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে অনেক মন্ত্রী-এমপি ও আমলার বিরুদ্ধে সংস্থাটিতে অভিযোগ জমা পড়লেও সে বিষয়ে কোনো অনুসন্ধান বা মামলা হয়নি। এ বিষয়ে দুদক বলছে, ওপরের চাপে তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও অনেক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে ওপরের কোনো চাপ বা সংস্থাটির স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, আমি মনে করি দুর্নীতি দমন কমিশন অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবেই কাজ করছে। আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। দুদক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনভাবেই কাজ করছে। দুদক স্বাধীন, পরাধীন নয়। এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আগে সংস্থাটিকে অকার্যকর করা হচ্ছে। ফলে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করাও কঠিন হয়ে পড়বে। দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মাঝেমধ্যে সংস্থাটির কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়, দুদক এখনও পরাধীন। আমাদের কাছেও বিভিন্ন সময় অভিযোগ এসেছে সংস্থাটি ওপরের নির্দেশ ছাড়া তদন্ত বা কোনো মামলা হয় না। এতে সংস্থাটির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ছাড়া সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়নের আগে এ ধরনের প্রেষণে প্রেরণ করা শুরু হলে তা দুদকের জন্য বিব্রতকর হবে।সূত্র :সময়ের আলো |