রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর এক মিনিটের বিনা পয়সার বাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করছেন সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীরা।
পাহাড়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের জন্য বিনা পয়সার এক মিনিটের বাজার চালু করেছে রাঙামাটি সেনাবাহিনী। শুক্রবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সহযোগিতায় রাঙামাটি সেনা সদর জোনের উদ্যোগে শহরের মারী স্টেডিয়ামে বসানো হয় এক মিনিটির এ অস্থায়ী বাজার। এ সময় বাজার উদ্বোধন করেন রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইফতেখার রহমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামের মাঠজুড়ে সাড়িতে সাড়িতে বসানো হয়েছে টেবিল। টেবিলের উপর সাজিয়ে রাখা হয় চাল, আলু, ঢেঁড়শ, শষা, বরবটি, কচুঁর লতি, মিষ্টি কুমড়া, চিচিংগা ও কাঁচা মরিচ। পরিমাণ মত প্যাকেট তৈরি করে রাখা হয়। যাতে একজন মানুষ এক মিনিটের মধ্যে তুলে নিতে পারে তার প্রছন্দের খাদ্য সামগ্রী। কিন্তু বাজারে প্রবেশ করার আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে হাত ধুয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে সেনা সদস্যদের সহয়তায় দূষণমুক্ত করা হয় পুরো এলাকা।
একই সাথে শৃঙ্খলা রক্ষাতে জীবাণুমুক্ত গেইট দিয়ে প্রবেশ করে দাঁড়াতে হয় লাইনে। প্রতিজনের হাতে দেওয়া হয় একটি করে টোকেন। টোকেন দেখিয়ে নিম্ন, মধ্যবিত্ত ও প্রতিবন্ধীরা সাড়িতে সাড়িতে সাজিয়ে রাখা হরেক রকম বাহারি সবজি সংগ্রহ করে নেয়। নামে বাজার হলেও এখান থেকে প্রতিবন্ধী, অসহায় ও দুস্থ মানুষেরা এক মিনিটের মধ্যে নয় প্রকার দ্রব্য সামগ্রী বিনামূল্যে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইফতেখার রহমান বলেন, মূলত এ বাজারের দু’টি এ উদ্দ্যেশ্য রয়েছে। পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষকরা যারা করোনাকালে বিপাকে পড়েছে। তাদের উৎপাদিত সবজি আমরা সংগ্রহ করেছি। এতে তারা লাভবান হয়েছেন।
এ সবজি দিয়ে অস্থায়ী বাজার বসানো হয়েছে। যাতে প্রতিবন্ধী, অসহায় ও দুস্থ মানুষরা তাদের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। এর আগে প্রতিবন্ধী ও দুস্থ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হয়। এ তালিকার আওতায় প্রায় ১৫০ পরিবারকে এ বাজারের সুবিধা দেওয়া হয়। শুধু রাঙামাটি নয়, আগামীকাল বান্দরবানে ও পরে খাগড়াছড়িতেও এ বিনামূল্যে এক মিনিটের বাজার চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
তথ্য সূত্রঃ নিউজ ২৪