সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ভেজাল দুধের ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।
রবিবার ১৭ মে বেলা ১২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ
নেতৃত্বে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নস্থ শ্যামপুর গ্রামে, চন্দিদাসগাঁতী, ছোনগাছা , বেজগাঁতী এলাকায় এই মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
এ সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নস্থ শ্যামপুর গ্রামে অসাধু দুধের ব্যবসায়ী জনাব নুরুল ইসলাম(৪৫)পিতাঃ মোঃ নজাব আলীকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ জানান, সিরাজগঞ্জ সদরের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করন এবং বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রবিবার প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামপুরের দুধের ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।জব্দকৃত দুধের মান নির্ধারিত যন্ত্র দিয়ে পরিক্ষা করা হলে দুধের ভেজাল পরিলক্ষিত হয়।অসাধু দুধের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে,তিনি প্রায় ৩০ (ত্রিশ) বছর ধরে এ ব্যবসার সাথে জরিত। তিনি তার চারটি গাভী থেকে প্রায় ৩৫ লিটারের মতো দুধ পান।বাজারে দুধের চাহিদা থাকায় তিনি দুধে র পরিমান বাড়ানোর জন্য ফ্যাটবিহীন দুধ(মেশিনের মধ্যমে ফ্যাট তুলে নেয়ার পর যে পানি অবশিষ্ট থাকে) মিশিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছিলো।গ্রামের অন্য দুধ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন যে তার গরু পর্যাপ্ত না থাকা সত্বেও তিনি প্রতিদিন ৩/৪ মন দুধ বাজারে বিক্রি করেন কি করে??। অসাধু ব্যবসায়ী সিরাজগঞ্জ সদর,শিয়ালকোল বাজার এবং সরাসরি বাসা বাড়িতে দুধ বিক্রি করে আসছেন।জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে দুধের পরিমান বাড়ানোর জন্য তিনি দুধ পানি মিশান এবং ক্রয়কৃত ফ্যাটবিহীন দুধ মিশ্রিত করে তা তাপে দিয়ে ফুটিয়ে তুলা হয়।এতে দুধের ঘনত্বে তারতম্য দেখা যায়।যা নির্ধারিত যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষায় তা ধরা পরে।খালি চোখে যা ধরা অনেকটা কষ্টস্বাধ্য ব্যপার।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযানে সহায়তা করেন, ভেটোনারি সার্জন ডাঃএসএম মাহমুদুল হক,প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা,সদর,সেনেটারী ইন্সপেক্টর জনাব দিপু চৌধুরী,সিরাজগঞ্জ জেলা এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।জনস্বার্থে অভিযান চলমান থাকবে।