রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়ার চাখারে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের জামাতের স্থান নির্ধারণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য, ছাত্রলীগ ও যুবদল নেতা সহ ৭ জন আহত হয়েছে
রবিবার সন্ধ্যায় চাখার ইউনিয়নের বড় ভৈৎসর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে এ রক্তক্ষয়ী
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেজবাউদ্দিন
সোহেল,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ,তার ছোট ভাই বাবু
আকন,ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল,হাবিবুর রহমান মোল্লা, লিটন ও ৪ নং
ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব আহত হয়। আহতদের বানারীপাড়া উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের
সহ-সভাপতি ও চাখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খিজির সরদার জানান ঈদুল ফিতরের জামাত মসজিদে পড়ার জন্য ইউএনওর নির্দেশনায় রবিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি এলাকায় মাইকিং করান।
কিন্তু ইউনিয়নের বড় ভৈৎসর গ্রামে মসজিদে
ঈদের জামাত পড়ার সিন্ধান্ত না মেনে ইউপি সদস্য মেজবাউদ্দিন সোহেল ও
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল সিকদার স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয় মাঠে প্যান্ডেল নির্মাণ করে সেখানে ঈদ জামাত পড়ার ঘোষণা দেন।
তাদের এ ঘোষণার পক্ষ নিয়ে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব ইউপি চেয়ারম্যান
খিজির সরদার ও সরকারকে গালাগাল করে। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম
সম্পাদক ও স্থানীয় চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সদ্য সাবেক
অধ্যক্ষ মাওলানা আ.হাইয়ানের ছেলে এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম
বিল্লাহর ভাই বাবু আকনের সঙ্গে যুবদল নেতা বিপ্লবের বাকবিতন্ডার এক
পর্যায়ে দু’জনের মাঝে হাতাহাতি হয়। এ খবর পেয়ে বিপ্লবের পক্ষের ইউপি
সদস্য মেজবাউদ্দিন সোহেল ও তার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মাওলানা আ.হাইয়ানের
ভাই উপজেলার মলুহার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে
পেয়ে ধাওয়া করে তার বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। এদিকে
চাখার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. মালেক হাওলাদার জানান চাউলাকাঠি
ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সদ্য সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে
অভিযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিপ্লবকে প্রতিপক্ষের
লোকজন মারধর করে। এরকম খবর জানতে পেরে ইউপি সদস্য মেজবাউদ্দিন
সোহেল,ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান
টুটুল ও হাবিবুর রহমান মোল্লা,স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী লিটন ঘটনাস্থলে
যায়। এ সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এদিকে আহতদের দেখতে স্থানীয় সংসদ
সদস্য মো. শাহে আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।