ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি: কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী।
আগামী পাঁচদিন বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতর। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের এই সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামী দুইদিন সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, আজ সকাল হয়েই রাত নেমে আসে ঝালকাঠির আকাশে। বুধবার রাতভর বৃষ্টি শেষে ভোরের আলো ফোটার পরই আবার কালো মেঘে রাত নেমে আসে ঝালকাঠি জেলার বুকে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব কাটতে না কাটতেই আজ বুধবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আবারো বাড়তে শুরু করেছে নদীর পানি। সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। পানি ঢুকে পড়েছে নদী তীরের বাসিন্দাদের ঘরে। বিষখালী নদীর ভাঙা বেড়িবাঁদ দিয়ে পানি প্রবেশ করে আবারো ২০ গ্রামের মানুষের বসতঘর তলিয়ে গেছে। ঝড় ও জলোচ্ছাস আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরের বাসিন্দারা। অল্প দিনের মধ্যে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ডুবে যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত, সবতঘর ও মাছের ঘের। নদী তীরের বাসিন্দারা জানান, জেলার চার উপজেলার শতশত হেক্টর জমির ফসল, বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সুগন্ধা তীরবর্তী ঝালকাঠি সদরের দেউরী, কিন্তাকাঠি, ভাটারাকান্দা, নলছিটির উপজেলার নাচনমহল, ভবানিপুর, হদুয়া, শহরের পুরানবাজার, মল্লিকপুর থেকে দপদপিয়া এবং বিষখালী তীরবর্তী রাজাপুরের বড়ইয়া ও কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া, আমুয়া, পাটিখালঘাটা ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কৃষকরা জানান, আউশের বাজীতলাসহ লতাকৃষি নিমজ্জিত রয়েছে। বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ঝালকাঠির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে তিন কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই আবারো নদীর পানি বেড়ে গেছে। যেটুকু ফসল ভালো ছিলো, তাও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।