মোঃ রায়হান আলী (ব্যুরো প্রধান) খুলনাঃ
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকালে সুপার সাইক্লোন খ্যাত ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধ মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া, কয়রা সদর ইউনিয়নের ঘাটাখালী ও হরিণখোলা, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের হাজত খালী, গাজীপাড়া ও রত্নঘেরি এবং দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালী ও আইটিহারার ক্ষতিগ্রস্থ পাউবোর বাঁধ পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি আপনাদের পাশে এসেছি। আপনাদের খোজ খবর নেওয়ার জন্য সার্বক্ষনিক আপনাদের সকলের প্রিয় এমপি ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। পরিদর্শন কালে তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে বাঁধ রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীকে পাঠানো হয়েছে। আগামী দুই তিনদিনের মধ্য সেনাবাহিনী বাধ মেরামতে কাজ শুরু করবে। অতি দ্রুত সময়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। আপনাদের সাহস দেখে আমার তথা সারা বাংলাদেশের মানুষের গর্ব করা উচিৎ। এতো বড় দূর্যোগে আপনারা সাহসের সঙ্গে মোকাবেলার করার জন্য আপনাদের নিয়ে আমার গর্ব হয়। আপনাদের দুঃখ দুরদর্শা দেখার জন্য আমি আপনাদের পাশে এসেছি। কিছুদিন আগে পানি সম্পদ সচিব আপনাদের এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আমরা একসাথে মিটিং করেছি। আপনারা ধৈর্য্য হারা হবেন না। আমি গত জানুয়ারী মাসের ২ তারিখে পাউবোর বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছি। সেসময় আমি বুঝতে পারছি আপনাদের এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ।সে সময় থেকে আমি আপনাদের কথা চিন্তা করে তিনটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। একটা ১২’শ কোটি টাকা, আরেকটা ৯’শ কোটি টাকা ও অন্যটা ৮’শ কোটি টাকা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেটি আমার মন্ত্রনালয় থেকে ইতিমধ্যে পাশ হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় পাঠানোর অপেক্ষায় আছে। অফিস বন্ধ থাকার কারণে পাঠাইতে পারছি না। অফিস খুললে প্রকল্প টি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আপনাদের পানি মুক্ত করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যহত থাকবে।আগামী শীত মৌসুমীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করাতে পারবো ইনশাল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা ০৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, ডিডিএলজি খুলনা মোঃ ইকবাল হোসেন, সাতক্ষীরা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা, সহকারী অফিসার ( ভূমি) নুর-ই আলম সিদ্দিকী, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হোসেন, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, প্রফেসর নজরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু, সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্যব্যক্তিবর্গ।