মুহাম্মাদ শোরাফ উদ্দিন (জেলা প্রতিনিধি) লক্ষ্মীপুর :
লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুলের ছাত্রী হিরা মনিকে (১৪) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমে চলছে নানা দাবি এবং বিশ্লেষণ। তবে এর মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই ৪জন তরুণের ছবিকে হিরা মনির খুনি হিসেবে তাদের বিভিন্ন পোস্ট এবং কমেন্টে প্রচার করছে।
প্রকৃত পক্ষে ছবিতে থাকা ওই চার তরুণসহ মোট ৮ জনকে একই এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকালে ছিনতাইকারী হিসেবে আটক করা হয়। তাদের নামে সদর থানায় ছিনতাইয়ের মামলা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছে। তাদের ছবিটি লক্ষ্মীপুর সদর থানা থেকে সাংবাদিকদের ক্যামরায় ধারণ করা হয়।
আট ছিনতাইকারীকে দুটিতে ছবিতে ৪ জন করে ছবি তোলা হয়। এনিয়ে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় পত্রপত্রিকায় তাদের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। কিন্ত তাদের এক গ্রুপের ছবিকে হিরামনির হত্যাকারী হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সাংবাদিকদের নজরে আসে।
অন্যদিকে শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী হিরা মনিকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে শনিবার অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করেছে। অপরদিকে যে তরুণদেরকে হিরামনি হত্যাকারী হিসেবে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে তাদের আটজনকে দক্ষিণ হামছাদীতে ছিনতাইকালে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পালেরহাট উত্তর বাজারের ঈদগাহ সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, ফারুক হোসেন (২০), শরীফ হোসেন (২০), নাহিদ হোসেন (১৯), আরিফ হোসেন বাবু (১৯), মোঃ তুষার ইমরান (২০), মোঃ তুষার ইমরান (২০), মোঃ শাওন (২১), শাফায়েত হোসেন (২০) ও মোঃ সোহেল হোসেন (২০)। তারা সবার বাড়ি ২নং দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে। এ ঘটনায় তাদের নামে লক্ষীপুর সদর থানায় ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে।