মুহাম্মাদ শোরাফ উদ্দিন (জেলা প্রতিনিধি)লক্ষ্মীপুরঃ
লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি ও রামগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রামগতির চর আবজালের আবদুল মোমিন, রামগঞ্জের দরবেশপুরে মোরশেদ আলম এবং আঙ্গারপাড়ার বাবুল মিয়ার মৃত্যু হয়।
এছাড়া সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডে মারা যায় আরো এক ব্যাক্তি। নিহতদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।এদিকে নতুন করে জেলায় আরো ৪৬জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫শ’ ৪৯জন।
এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন ২শ’ ৫৪জন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এখন পর্যন্ত ১১জন। আর উপসর্গ নিয়ে নতুন চারজনসহ মারা গেছে অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি।
অপরদিকে লক্ষ্মীপুর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ এ চারটি পৌরসভা ও কমলনগর উপজেলা এবং সদরে ৭টি ইউনিয়নসহ ১৫টি ইউনিয়নকে ‘রেড জোন’ চিহিৃত করে লকডাউন চলছে। ৪র্থ দিনের মতো চলছে লকডাউন। লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভা। তবে গতদিনের তুলনায় শুক্রবার ছিল লকডাউন ঢিলেঢালাভাব।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আবু তাহের জানান, যেসব ওয়ার্ডে রেড জোন চিহিৃত করে লকডাউন দেয়া হয়েছে। সেসব ওয়ার্ডে লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরা কাজ করছেন। লকডাউন কার্যক্রর করতে পৌরসভার পাশাপশি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে আরো সোচ্ছার হতে হবে। তাহলে লকডাউন বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করেন তিনি।সিভিল সার্জন ডা. আবদুর গফ্ফার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত ব্যাক্তিরা জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন।
আর এসব ব্যাক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। খবর পেয়ে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে নিহতদের বাড়ি।পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, যেভাবে করোনার সংক্রমন বাড়ছে। লকডাউন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তাই বাস্তবায়ন করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবেনা। এ ছাড়া সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধও করেন তারা।