তাপস কর,ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে উপজেলার ৮টি ইউরিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও পৌর এলাকায় অন্তত একশত ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেড় শতাদিক গবাদি পশুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
পানির নিচে তলিয়ে গেছে ২৯৩০ হেক্টর ফসলি জমি। প্লাবিত ইউনিয়নগুলো হলো সাতপোয়া, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, ভাটারা, ডোয়াইল, আওনা, পিংনা ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার কিছু অংশ। আজ বুধবার বিকাল পযন্ত যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টের বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জানা যায়, বন্যার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের বটতলা জামে মসজিদ সংলগ্ন পাকা সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০-১২টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অপর দিকে বন্যার পানিতে গাছবয়ড়া গ্রামের পাকা সেতুর সংযোগ রাস্তাসহ ৯টি সড়ক ভেঙে ও তলিয়ে গিয়ে পোগলদিঘা ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
পিংনা ইউনিয়নের ৬ কিলোমিটার রাস্তা ভেঙে ১৫০ পরিবার দুর্ভোগে রয়েছেন। কামরাবাদ ইউনিয়নের একটি বেড়িবাধে ৩০ মিটার ও পাকা রাস্তা ৫২ মিটার ভেঙে গেছে। এবং ১২ মিটার নদীর পাঁড় ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ভাটারা ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়েছে ৫শতাদিক পরিবার।
এছাড়া আওনা, ডোয়াইল ও পৌর এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন জানান, বন্যায় পোগলদিঘা ইউনিয়নে বেশি রাস্তা ঘাট ভেঙেছে।
পানিবন্দি মানুষগুলোর জন্য খাবার সরবরাহ না করলে চরম দুর্ভোগে পড়বে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত ২৪ ঘন্টার উপজেলায় চরাঞ্চলে পানি বেশি প্রবেশ করায় ২৯৩০ হেক্টর বীজতলা ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যা পানি এভাবে বৃদ্ধি পেলে আরো বেশি ক্ষতি হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, বন্যার পানিতে রাস্তা ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আজ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বানভাসীদেও মাঝে ক্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।