গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত হয়েছে।
জেলার সুন্দরগঞ্জ,
গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী
এলাকাগুলোর মানুষ এখনও শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও
গো-খাদ্যের সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে বন্যায় কর্মহীন হওয়ার কারণে
শ্রমজীবি মানুষগুলোর মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ৬ জুলাই সোমবার ব্রহ্মপুত্রের
পানি বিপদসীমার ৩৫ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার মাত্র ৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩২০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া বন্যায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।