নরসিংদীর মনোহরদীতে বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও চালের কার্ড দেওয়ার নামে দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ভূঞার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চকবগাদী গ্রামের সিরাজ উদ্দিন
ভূঞার ছেলে তিনি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মনোহরদী উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্ত ভোগীরা।
অভিযোগে জানা যায়,
হারুন অর রশিদ মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড দেওয়ার কথা বলে চকবগাদী গ্রামের
জুয়েল মিয়ার স্ত্রী তানিয়া আক্তারের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা, রমিজ উদ্দিনকে বয়স্ক ভাতা এবং চালের কার্ড দেওয়ার নামে ছয় হাজার
টাকা, একই গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী মুর্শিদা বেগমের নামে বিধবা ভাতার
কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে তিন হাজার ৫০০ টাকা এবং তাজুল ইসলামের স্ত্রী মাজেদা
বেগমকে চালের কার্ড দেওয়ার কথা বলে দুই হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
একইভাবে ওই গ্রামের ২০-২৫ জন
সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে কার্ড দেওয়ার নামে অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
ষাটোর্ধ্ব রমিজ উদ্দিন বলেন,
আমি গরিব মানুষ। অল্প টাকা পুঁজি নিয়ে কলার ব্যবসা করে অনেক কষ্টে সংসার চালাই।
পাঁচমাস আগে হারুন অর রশিদ বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিবে বলে আমার কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা নেয় কিন্ত এখনো কার্ড পাইনি।
মুশিদা বেগম বলেন, আমি
বাড়ির পাশে একটি কারখানার মেসে রান্নার কাজ করে কোনো রকম সংসার চালাই।
আমার নামে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে হারুন অর রশিদ
সাড়ে তিন হাজার টাকা নেয়। কিন্তু এখনো কার্ডের কোনো খবর নাই।
হারুন অর রশিদের সাথে
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য আমার নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা শাফিয়া আক্তার শিমু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা সমাজসেবা
কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।