বরিশালের বানারীপাড়ার সদর
ইউনিয়নের দক্ষিণ জম্বদ্বীপ গ্রামের প্রধান রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে
চলাচল অনুপযোগী হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
বানারীপাড়া-বরিশাল সড়কের
জম্বদ্বীপ ব্রিজের পশ্চিম প্রান্তের ঢাল থেকে দক্ষিণ জম্বদ্বীপ দীঘিরপাড়
ও বাড়ৈ বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি
সীমান্তবর্তী স্বরূপকাঠির আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের খায়েরকাঠির সঙ্গে গিয়ে
মিলিত হয়েছে।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওই এলাকার শিক্ষার্থী সহ জনসাধারণের চরম
দুর্ভোগের মধ্যে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তার কিছু অংশে ইট
বিছানো থাকলেও সিংহভাগ মাটির। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গিয়ে ও বড়
বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে এবং চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তার মাটির অংশ কর্দমাক্ত
হওয়ায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ওই রাস্তায় যানবাহন তো দূরের কথা
মানুষজনই ঠিকমতো চলাচল করতে পারছেন না। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ইতোমধ্যে
পা পিছলে পড়ে গিয়ে অনেকেরই হাত-পা ভেঙ্গেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের
জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি বছরের পর বছর এভাবে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে
থাকলেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই।
ওই রাস্তার দক্ষিণ প্রান্তে ইউপি সদস্য সমীরণ ঘরামী ও দক্ষিণ-পশ্চিম
প্রান্তে নারী ইউপি সদস্য মনিকা মিস্ত্রির বাড়ি। তারা দুজন ও তাদের
পরিবারের সদস্যরা এ রাস্তা ব্যবহার করেই চলাচল করে থাকেন। ওই রাস্তার
অদূরে ইউপি চেয়ারম্যান আ. জলিল ঘরামীর বাড়ি।
এ প্রসঙ্গে তাদের ভাষ্য
সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও শীর্ষ জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার আবেদন নিবেদন করলেও
রাস্তাটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।এ ব্যাপারে বানারীপাড়া উপজেলা
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক বলেন জনগুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি
পাকাকরণের জন্য ইতোমধ্যে এলজিইডি মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।