জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ভালুকা গ্রামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষন করেছে উজ্জল ফকির(১৫)।ধর্ষক উজ্জল ফকির(১৫) ধর্ষিতার পাশের বাড়ীর আনোয়ার ভাগুরের ছেলে। শিশুটিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। গাইনী বিভাগের নার্স ইনচার্জ রোকসানা বেগম শিশুটিকে ধর্ষনের তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেন।
এঘটনায় বুধবার(১৫ জুলাই) ধর্ষকের বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শিশুটির পিতা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেলান্দহ উপজেলার ভালুকা গ্রামে গত মঙ্গলবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর আনোয়ার ভাগুরের ছেলে উজ্জল ফকির(১৫) এক কৃষকের শিশু কন্যাকে বাড়ীতে একা পেয়ে ধর্ষন করেছে।
ধর্ষনের এক পর্যায়ে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে শিশুটিকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ঘরে পরে থাকতে দেখে। এসময় লম্পট উজ্জল ফকির দৌড়ে পালিয়ে যায়।প্রতিবেশীরা ধর্ষিতা শিশুটিকে প্রথমে মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করে।
বর্তমানে শিশুটি গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।গাইনী বিভাগে শিশুটির খোঁজখবর ও তথ্য নেওয়ার জন্য গেলে গাইনী বিভাগের ইনচার্জ নার্স রোকসানা বেগম বলেন,আপনি কার অনুমতি নিয়ে এখানে এসেছেন।আপনাকে ধর্ষিতা শিশুটির ব্যাপারে কোন ধরনের তথ্য দিতে পারবনা।
এই কথা বলে তিনি ধর্ষিতা ও তার মা-খালাকে নিয়ে নিজের রুমে রাখে।তিনি আরো বলেন, এব্যাপারে কথা বলতে নিষেধ আছে আর এমও স্যারের।ধর্ষিতা শিশুটির ব্যাপারে কথা বলতে আর এমও স্যারের সাথে দেখা করলে তিনি বলেন,আমি ধর্ষিতার ব্যাপারে আপনাকে কিছু বলতে পারবনা।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ রেজাউল ইসলাম খান বলেন,আজ বুধবার ধর্ষক উজ্জল ফকিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা(নং ১৪,১৫/০৭/২০২০ইং মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।