গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি ১৯ জুলাই রোববার পর্যন্ত এখনও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোববার বন্যা উপদ্রুত সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলায় আরও ৪০ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ দাড়ালো ২৫০ মে. টন। এছাড়া খয়রাতি সাহায্য হিসেবে নগদ সাড়ে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এদিকে পানি একটু করে কমতে শুরু করায় বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন
শুরু হয়েছে। সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নে গত পাঁচদিনে বাজে চিথুলিয়া ও চিথুলিয়া গ্রাম দুটির ৩১৮টি পরিবার
নদী ভাঙনে গৃহহারা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুর, হরিপুর ও কাপাসিয়ার পোড়ার চর এবং সাঘাটা উপজেলার হলদিয়ায়
ব্যাপক নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে,
ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৮১ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫৪ সে.মি.
উপর দিয়ে বইছে। তবে এ নদীর পানি এখনও বিপদসীমার বেশ কিছুটা নিচে রয়েছে।