গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর পল্লীতে পান খাওয়ার প্রলোভনে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মারুফা আক্তারকে (২০) ধর্ষণ। ধর্ষণের অভিযোগে চার সন্তানের জনক লম্পট ধর্ষক বাবলু মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বেতকাপা ইউপি’র সাকোয়া মাঝিপাড়া গ্রামে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার সাকোয়া মাঝিপাড়া গ্রামের মোজা মিয়ার ছেলে চার সন্তানের জনক লম্পট প্রকৃতির বাবলু মিয়া তার ঘরে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ভাবে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তার পাশের বাড়ীর দরিদ্র মন্টু মিয়ার প্রতিবন্ধী কন্যার প্রতি তার কু-দৃষ্টি পড়ে।
সময়ের ব্যবধানে সুযোগ বুঝে এর আগেও বাবলু তাকে একাধিক দিন ধর্ষণ করে বলে জানা যায়। পারিবারিক ও সামাজিক আত্মসম্মানের ভয়ে সে সময় বিষয়টি গোপন থাকে। ঘটনার দিন দ্বিতীয় দফায় গত ১৬ জুলাই কেউ না থাকার সুযোগে বাবলু মিয়া সকাল ৯টার দিকে প্রতিবন্ধীর বসতবাড়ীতে ঢুকে।
নানা প্রলোভনসহ এক পর্যায়ে পান খাওয়ানোর কথা বলে দুপুর ১২টার দিকে প্রতিবন্ধী কন্যাকে বাবলু তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়। এসময় ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষিতাকে তার নিজ বাড়ীতে রেখে আসে।
এদিকে এ নিয়ে ধর্ষিতার বাবা দরিদ্র মন্টু মিয়া এ ব্যাপারে বাবলু মিয়াকে আসামী করে পলাশবাড়ী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা (নং-১৫, তাং-২০/০৭/২০) দায়ের করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মাঠেরহাটে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক বাবলু মিয়াকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গাইবান্ধা কোর্টহাজতে প্রেরণ করা হয়।