গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ একমাসেও নামেনি পানি। ফসলি জমি সহ ঘরবাড়িগুলো পানির নিচে। যার কারণে মানুষের খাদ্য সংকটের পাশাপাশি গবাদিপশু গুলোকেও পোহাতে হচ্ছে খাদ্যের দুর্ভোগ।
কয়েক দফা বন্যায় গাইবান্ধা জেলার ৫টি উপজেলার মানুষ সহ গো-খাদ্য সঙ্কট চলছে।এর মধ্যে রয়েছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার
একাংশ।বন্যার ফলে গোখাদ্য সংকটে গোবিন্দগঞ্জের নিম্নাঞ্চল ও চরারাঞ্চল
গরু পালনকারী খামারি ও কৃষক পড়েছেন বিপাকে। অনেক খামারি-কৃষক
এখন গো-খাদ্য হিসেবে কচুরিপানা সংগ্রহ করে গরুর খাবারের চাহিদা মেটাচ্ছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের করতোয়া নদীতীরবর্তী
ও বিভিন্ন খাল-বিল থেকে দলবেঁধে কচুরিপানা সংগ্রহ করছেন
খামারি ও কৃষক। খড়ের দাম এখন আকাশচুম্বি। তাই বাধ্য হয়ে কচুরিপানাই কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন কৃষক।
উপজেলার তালুককানুপুরের গরুর খামারি আমিরুল ইসলাম বললেন, গরুর জন্য প্রয়োজনীয় খড় পাওয়া যাচ্ছে না। এখন তো বিকল্প চিন্তা না করলে,গরু বিক্রি করে দিতে হবে। গো-খাদ্য সঙ্কটে অনেকেই গরু বিক্রি করেছেন।খামারিদের এখন খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ।অন্যদিকে অসহায় কৃষকদের ক্ষেত-খামার ডুবে যাওয়ায় গরুর খাদ্য জোগাড় করতে পারছেনা,চড়ামূল্যে গোখাদ্য কেনার সামর্থ নেই তাদের তাই বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে কচুরিপানাই বেঁচে নিতে হচ্ছে তাদের।