বরিশালের বানারীপাড়ার
বিশারকান্দি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া বাজার সংলগ্ন গ্রামীণ ফোনের টাওয়ারে
চুরির প্রস্তুতিকালে ৭ দুর্বৃত্তকে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আটক করে
পুলিশে দিয়েছে জনতা। এসময় তাদের কাছ থেকে টাওয়ারের বিভিন্ন
যন্ত্রাংশ,চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও দুটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়।
তবে পুলিশ দাবি করছে তারা চুরি নয় মরিচবুনিয়া ও চৌমোহনা বাজারে ডাকাতির
উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। উপজেলার বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান
সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ৮ দুর্বৃত্ত দুটি
ট্রলার যোগে এসে মরিচবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বাজার সংলগ্ন গ্রামীণ
ফোনের টাওয়ারে চুরি করার প্রস্তুতি নেয়।
এসময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে
মুঠোফোনে তাকে জানালে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ সহ লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে
গিয়ে টাওয়ারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও দুটি
ট্রলার সহ ৭ দুর্বৃত্তকে আটক করেন। তবে এসময় নাজিরপুর উপজেলার পশ্চিম
বাইনারী গ্রামের কবির গাজী নামের এক দৃর্বৃত্ত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পরে থানায় খবর দেওয়া হলে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ পুলিশ নিয়ে
ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আটককৃতরা হলেন পিরোজপুরের
স্বরূপকাঠি উপজেলার বালীহারি গ্রামের হিরু,বলদিয়া কাটাখালি গ্রামের
ইয়াসিন হাওলাদার,উলিবুনিয়া গ্রামের ইয়াছিন বাহাদুর,নাজিরপুর উপজেলার
বাইনারী গ্রামের সহিদুল ইসলাম,পশ্চিম বাইনারী গ্রামের লিটন শেখ,
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী গ্রামের শাহিন শেখ ও তাওহীদুল ইসলাম।
এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।
কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানাও রয়েছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে
বানারীপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ জানান বিশারকান্দি
ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া ও চৌমোহনা বাজারে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে জনতার
সহায়তায় তাদের আটক করা হয়েছে। এ ব্যপারে বুধবার সকালে থানায় ডাকাতির
প্রস্তুতির মামলা দায়েরের পর তাদেরকে বরিশালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।