ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হয়েছে। যে কারনে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ঈদ করতে পাড়েনি বন্যাদুর্গতরা। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও মাঠঘাট এখনো জলমগ্ন।
দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকায় দুর্গত এলাকার মানুষ খাবারের সংকটসহ নানা সমস্যা মোকাবিলা করছেন। দুর্গত এলাকায় ছিল না কোনো ঈদ আনন্দ। ঈদের দিন অনেকেই রান্না পর্যন্ত করতে পারেনি। কোথাও হয়নি কোরবানি।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আবদুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
একে একে তিন দফার বন্যায় ১০ লাখ মানুষ এখন বিপর্যস্ত। কয়েক দিন ধরে ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করে। অনেকের ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের ঘরে ঘরে এখনো পানি আছে। এর মধ্যেই আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন বানভাসিরা।
বহু মানুষ এখনো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সড়কের পাশে ও সেতুর ওপর আশ্রয় নিয়ে আছেন। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্যসংকট। মানুষের কাজ নেই। হাতে টাকা নেই। সব মিলিয়ে দিশেহারা বন্যার্ত মানুষ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বন্যায় সাতটি উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। একই সঙ্গে ৮টি পৌরসভাও বন্যাকবলিত হয়েছে। ওই ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬৭৭টি গ্রামের ৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০৭ জন মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। ইতিমধ্যে ১২ হাজার ৪২৮ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে।