বরিশাল বিভাগের জেলা ঝালকাঠির এক প্রাচীন নিদর্শন বলা যেতে পারে কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়িকে।ঝালকাঠি সদর থেকে ৪/৫ কিমি উত্তরে গেলেই দেখা মিলবে বড় হিস্যার এই জমিদার বাড়িটি।কীর্ত্তিপাশার জমিদার রামজীবন সেন এই বাড়িটির নির্মাতা।
মুল ভবনের ক্ষত- বিক্ষত স্মৃতি এখনো আছে। সামনেই একটি পুকুর।মূলফটকের ভিতরে আছে কমলি কান্দর নবীন চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়। ১৯৭৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
কালের গর্ভে হার মেনেছে অনেক স্মৃতি।তবু এখনো আছে জঙ্গলে ঘেরা দূর্গামন্দির,পুরনো নাট্যশালা, পারিবারিক শিব মন্দির,জমিদারদের ব্যবহৃত টেবিল,কমলি কান্দর নবীন চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়, শতবর্ষের অধিক( ১৯০৩ সনে প্রতিষ্ঠিত) নামকরা বিদ্যালয় কীর্ত্তিপাশা প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়,জমিদার রোহিণী রায়ের সমাধি,সতীদাহ প্রথার চিহ্ন, খননকৃত পুকুর,জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদি।
১৯ শতকের শেষ দিকে বিক্রমপুরের জমিদার রামসেন গুপ্ত কীর্ত্তিপাশা আসেন।তার দুই পুত্র কৃষ্ণ কুমার ও দেবীচরনের জন্য নির্মান করেন ছোট হিস্যা ও বড় হিস্যা। কালস্রোতে ছোট হিস্যা হারিয়ে গেলেও রয়ে গেছে সেই বড় হিস্যা। উল্লেখযোগ্য দুটি নক্ষত্র হলো রোহিণী কুমার রায় চৌধুরী এবং তপন কুমার রায় চৌধুরী।
রোহিণী কুমার ১৯০৩ সালে প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।আর তপন কুমার রায় চৌধুরী ছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। সতীদাহ চিহ্ন নিয়ে আছে মতভেদ। যতদূর জানা যায় জমিদার পুত্র রাজকুমারকে বিষ পানে হত্যা করলে তার স্ত্রী সহমরণ করেন।
এটিই সতীদাহের চিহ্ন হয়ে আছে রাস্তার কিছুদূর এগোলে। বর্তমানে জমিদার বাড়ির পাশেই গড়ে উঠেছে নার্সিং হাসপাতাল।আর পুরাতন ভবনের পাশ দিয়েই কীর্ত্তিপাশা – শেখেরহাট সড়ক। প্রতিবছর এখানে বহু পর্যটকদের ভিড় পড়ে।আপনিও আসতে পারেন প্রাচীন এ নিদর্শনটি একনজরে দেখার জন্য।