ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের এলজিইডি’র আওতাধীন উপজেলা কর্তৃক বাস্তবায়িত কার্পেটিং পশ্চিম ফুলহার-বারবাকপুর সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।তবুও দেখার যেন কেউ নেই! কর্তৃপক্ষের নজদারির অভাবে চলাচলের বিকল্প কোন ব্যবস্থা হয়নি।
ফলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত কালভার্টটি ভেঙ্গে পরে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের, চলাচল বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যান বাহন।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে পুনঃ খননকৃত সেনের খালের তীব্র স্রোতের কারনে কালভার্টটি ভেঙে যায়। তারপর হতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কালভার্ট দিয়ে পার হতে হয় শত শত শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের মানুষদের। এ কারনে বারবাকপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ২৬ নং বারবাকপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় ও ২৯ নং পূর্ব ফুলহার সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শত শত শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
স্কুলগুলোর মাঝামাঝি এ কালভার্টটি ভেঙ্গে এমন দশায় পরিণত হয়েছে যে প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ৫ হাজার লোকের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে মটর সাইকেল, রিকাশা, ভ্যান, ইাজবাইক, ভডভডি, নসিমন, করিমন, সিএনজি ও কোম্পানীর পিক-আপ ভ্যানসহ বিভিন্ন রকমের মোটরযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক লোক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, স্থানিয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে অবহিত করার পরও কালভার্টটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ আজো নেয়া হয়নি। তাই দ্রুত সমস্যা সমাধান ও নতুন কালভার্ট নির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানিয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া, শাকিল ও আলিম জানায়, কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের অনেকে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এখান থেকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এই বিষয়ে রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মৃধা মজিবর জানান, কালভার্টটি সংস্কারের জন্য এরই মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কালভার্ট পুনঃ নির্মান করা হবে।