ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালি বাজারে একটি দোকানে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রেট্রোল বিক্রি কালে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বুধবার (৫ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ও ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিসের পৃথক ২টি ইউানটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আশপাশের দোকানগুলো রক্ষা পেলেও ১৪টি দোকান পুড়ে ভুস্মিভুত হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রাতে বিদ্যুৎ পেট্রোল ব্য থাকায় ব্যাবসায়ী আব্দুল মজিদ মোমবাতি জ্বালিয়ে পেট্রোল বিক্রি করার সময় মোমবাতির আগুন পেট্রোলে ধরে যায়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দোকানদার মজিদ(৭৫) দগ্ধ হন। তাকে রাজাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আরো ১০ জন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছে।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আল আমীন জানান,আগুর লেগে ১৪ টি দোকান পুড়ে গেছে।পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোতে ব্যাপক মালপত্র ছিল। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ী ও দোকান ঘর মালিকরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসার মো:আখতার হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেস্টা করি।
আমরা ২ টি ইউনিট এখানে প্রায় অধাঘন্টা চেস্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে। এ অগ্নিকান্ডে ১৪ টি দোকান পড়ে গেছে এবং ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে পরিদর্শনকালে মোঃ সোহাগ হাওলাদার জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ঢেউ টিন ও নগদ অর্থ বিতরন করা হবে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিস্থরা হলেন ১) মাসুম হাওলাদার, পিতা- আবুল হাসান; ২) ফারুক মোল্লা, পিতা- মৃত গণি মোল্লা ৩) আব্দুস সালাম মুন্সি, পিতা- মৃত রাশেদ মুন্সি; ৪) তাপস ধোপা, পিতা- অনিল ধোপা; ৫) জামাল হাওলাদার, পিতা- মৃত সায়েদ হাওলাদার; ৬) রুহুল আমিন মৃধা, পিতা- পনু মৃধা; ৭) এচাহাক হাওলাদার, পিতা- মৃতা কাশেম হাওলাদার; ৮) আব্দুল সাদি হাওলাদার, পিতা- আফেজ উদ্দিন; ৯) সম্রাট হাওলাদার, পিতা- আইয়ুব আলী হাওলাদার; ১০) বেলাল হাওলাদার, পিতা- মৃত আফেজ উদ্দিন হাওলাদার; ১১) শাহজাহান হাওলাদার, পিতা- মৃত আফেজ উদ্দিন হাওলাদার; ১২) রহমান হাওলাদার, পিতা- মৃত আফেজ উদ্দিন হাওলাদার; ১৩) বেলাল মুন্সি, পিতা- মৃত ইউনুছ মুন্সি ও ১৪) সৈয়দ আলমগীর হোসেন, পিতা- মৃত সৈয়দ আতাহার হোসেন। এরা সকলেই ঐ এলাকার বাসিন্দা।