November 22, 2024, 1:38 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

নদী খননের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে দৃশ্যপট।

এম এইচ রনি, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : সোমবার, আগস্ট ১৭, ২০২০
  • 533 দেখুন

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি,দুুুুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশ রক্ষার উন্নয়নে নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো খননের মাধ্যমে প্রান ফিরে পেয়েছে। এরই মধ্যে সৈয়দপুরের নদী খনন করার ফলে বদলে গেছে নদীবাহিত এলাকা গুলোর দৃশ্যপট।

প্রতিবছরের চেয়ে এবারে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এবছর নদীগুলো খননের ফলে বন্যা ও জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমেছে। সেই সাথে অপরূপ সাজে সেজেছে নদীবাহিত গ্রাম গুলো প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমের চির চেনা জলাবদ্ধতা এ বছর আর নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গৃহিত এসব নদী ও খাল খনন কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলে বাড়বে সেচ সুবিধা, বাড়বে শষ্য উৎপাদন। বর্ষা মৌসুমে ত্বরান্বিত হবে পানি নিস্কাশন, প্রজনন বাড়বে দেশীয় প্রজাতির মাছের, সংরক্ষণ হবে জীব বৈচিত্র । সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র মতে, সৈয়দপুরে খনন করা হয়েছে তিনটি নদী ও একটি খাল।

খনন হয়েছে এ পর্যন্ত ১৩২ কিঃমিঃ নদী। দীর্ঘদিন খনন না হওয়া ধাইজান, চাড়ালকাটা, খড়খড়িয়া নদী ও পচা নালা খাল খনন কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত নদী খননের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২০২০-২১ অর্থ বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে।

সূত্রমতে আরো জানা যায়, ধাইজান নদীর খনন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে সাড়ে ২৮ কিঃমিঃ, নদী খননে ব্যায় হচ্ছে সাড়ে আট কোটি টাকা। চাড়ালকাটা নদীর খনন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ২৫কিঃমি। খড়খড়িয়া নদীর খনন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ৫৭কিঃমিঃ, নদী খননে ব্যায় হচ্ছে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা ও পচানালা খাল খননের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে সাড়ে ২১কিঃমিঃ, খননে ব্যায় হচ্ছে ৩ কোটি ৮৫লক্ষ টাকা।

নদী তীরবর্তী সুবিধা ভোগি কৃষক আফছার আলী, হাছিনুর রহমান, সামসুল হক বলেন,নদী খনন করার ফলে আগের মত বন্যা বা বৃষ্টির পানি জমে ক্ষেতের যে ক্ষতি হতো তা এ বছর হয়নি। আগে আমরা এই জমি গুলো থেকে এক ফসলের বেশি পেতাম না, নদী খননের ফলে এখন আমরা এই জমি থেকে দুই থেকে তিন ফসলী ফসল আবাদ করতে পারছি।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণকমল চন্দ্র সরকার বলেন, নদী খননের কাজ এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে আগমি নভেম্বর মাসের মধ্যে নদী খননের বাকি কাজ সম্পন্ন হবে।

তিনি আরো বলেন, মুজিবর্ষ উপলক্ষে নদীর পার সংরক্ষনের জন্য আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনের সাড়ে ১২ হাজার বৃক্ষরোপন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102