জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়াটার থেকে সুলতানা পারভীন (৩৮) নামে এক গাইনী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতাল কোয়াটার হতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক জানান, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে চিকিৎসক সুলতানা পারভীন হাসপাতাল কোয়াটারের বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। আজ রবিবার সারাদিন বাসা থেকে তাঁর কোন সাড়া না পেয়ে সন্দেহ জাগে। পরে পুলিশসহ হাসপাতালের অন্যান্যদের সাথে নিয়ে কোয়াটারে তার রুমের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার ও সার্কেল এসপি ছামিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম খান জানান, প্রাথমিকভাবে ডাক্তার সুলতানা পারভীন আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হয়। তার শরীরে প্যাথেডিন পুশের আলামত পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
চিকিৎসক সুলতানা পারভীন ৩২ তম বিসিএসের মেডিকেলের (গাইনী) ছাত্রী ছিলেন। তাঁর পিতার নাম আলাউদ্দিন আজাদ। সে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২৮/এ নং বাসা, রোড নং-৩, মোহাম্মদী আবাসিক এলাকায় থাকতেন। তিনি মেলান্দহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।