ময়মনসিংহে যৌতুকের টাকার জন্য মেরে ফেলা হয়েছে মেয়েকে এই অভিযোগ জানায় পিতা।
আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকে ১০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গরুর খামার করবে, তাই টাকা দিতে হবে। আমি বলেছি, বাবা কিছুদিন আগে পাঁচ ভরি স্বর্ণ দিয়েছি।
তোমাদের বিয়ের সময় চার লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন টাকা কোথায় পাব। কিছুদিন সময় দাও। টাকা দিতে না পারায় অত্যাচার করে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এভাবেই মেয়ের মৃত্যুর কথা বলছিলেন ময়মনসিংহ নগরীর নাটকঘর বাইলেনের এলাকার মুদি দোকানদার আব্দুছ ছামাদ।
চলতি বছরের ১১ মার্চ ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের শাহাজ উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান শরীফের (২৩) সঙ্গে বিয়ে হয় ময়মনসিংহ নগরীর নাটকঘর বাইলেনের কন্যা লামিয়া লাইজুর। বিয়ের পর থেকে স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্বামীকে দিতেন গৃহবধূ লাইজু।
শনিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ধোবাউড়ার ঘোষগাঁও এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাইজুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রবিবার (১৬ আগস্ট) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে ধোবাউড়া থানায় নিহত গৃহবধূ লাইজুর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়েছে।
লাইজুর শ্বশুর শাহাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে লাইজুর স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। অপরাধিকে আইনের আওতায় আনা হবে।