প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকা কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। খুলেছে সৈকতের দোকানপাটও। গত ১৮ মার্চ থেকে সমুদ্রসৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পনির্ভর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত ১ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করে কক্সবাজার শহরের দোকানপাট খুলে দেওয়া হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়নি পর্যটন কেন্দ্রগুলো। গত সপ্তাহে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সোমবার থেকে পর্যটকদের জন্য সীমিত পরিসরে কক্সবাজার পৌরসভার দর্শনীয় স্থানগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জেলা প্রশাসক জানান, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ১৩টি শর্তে খুলে দেওয়া হয়েছে শহরের হোটেল-মোটেলগুলো। এখন থেকে কক্সবাজার শহরের সেই চিরচেনা দৃশ্য ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে।
হোটেল মালিকদের সংগঠন ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার আশা করেন, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দী মানুষ মুক্ত হাওয়া খেতে আবারও কক্সবাজারে আসবেন।
তবে এখন একটি কক্ষে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত পর্যটক থাকার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাপল বেড ও টুইন বেডে সর্বোচ্চ দুজন অবস্থান করতে পারবেন। এদিকে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার আগেই কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারে আসছেন অনেক পর্যটক।