বরিশালের উজিরপুরে বিউটি বেগম (২৫) নামের এক নারীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে একটি ক্লিনিকের পরিচালক ও কথিত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টায় ‘মায়ের দোয়া’ নামের ওই ক্লিনিকের পরিচালক রেজাউল করিমকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় উত্যক্তের শিকার নারী উজিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে রেজাউল নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিলেও তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ওই নারীর অসুস্থ বড় বোন সম্প্রতি উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়নের ‘মায়ের দোয়া ক্লিনিকে’ ভর্তি হন।
বোনের সেবা শ্রুষা করার জন্য ছোট বোন তার সঙ্গে ক্লিনিকে যাওয়ার পর থেকে ওই ক্লিনিকের পরিচালক রেজাউল করিম তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। গত ১৬ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট ক্লিনিকে আটকে রাখা হয় তাকে। পরে ১৯ আগস্ট বুধবার রাতে খবর পেয়ে উজিরপুর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
উত্যক্তের শিকার নারী জানান,ক্লিনিকে থাকা অবস্থায় রেজাউল বিভিন্ন সময়ে তাকে নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। এমনকি তার কক্ষেও ডেকেছেন। গভীর রাতে তার বেডে এসে হাজির হন রেজাউল। তার বিরুদ্ধে সেখানকার অনেক নারী রোগী নানা অভিযোগ করেছেন তার কাছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, রেজাউল করিম এমবিবিএস না হয়েও নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শওকত আলীও তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
নিজেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রেজাউল করিম জানিয়েছেন, হাসপাতালের বিল পরিশোধ না করে তার বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
এ বিষয়ে উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, ‘ঘটনার শিকার নারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মায়ের দোয়া ক্লিনিকের পরিচালককে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা এজাহারভূক্ত করে ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বরিশালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।