টানা বর্ষণ ও অমাবশ্যার প্রভাবে বরিশালের বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পৌর শহর সহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে উপজেলার ৮১ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
ঘের সহ শতাধিক পুকুরের চাষ করা বিভিন্ন জাতের লাখ লাখ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। মৎস্য চাষি ও সবজি সহ ফসলের ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। চারদিকে থৈ থৈ পানির কারণে হাস-মুরগী ও গবাদি পশু নিয়ে মানুষ পড়েছে মহা বিপাকে।
অনেক পরিবার স্থানীয় সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। করোনাকালীণ পানি বন্দি হয়ে পড়া এ যেন ‘মরার ওপর খড়ার ঘা’। সব মিলিয়ে এলাকার নিন্ম ও মধ্য বিত্ত পরিবারগুলো নতুন করে আবার বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
এসব পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান অমাবশ্যার প্রভাবে সাগরে অস্বাভাবিক জোয়ার ও উজানের পানি মেঘনার দিকে প্রবাহিত হওয়ায় বরিশালের সবগুলো নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন জোয়ার ভাটায় পানি ওঠা নামা করায় এ সংকট স্থায়ী নাও হতে পারে। তারপরেও পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
র্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবার রয়েছে যা প্রয়োজনে বিতরণ করা হবে বলেও তিনি জানান।