নিজেরও দ্বিতীয় বিয়ে, স্বামীরও। এলাকায় তাঁকে চেনে ‘জামালপুইর্যা মেস্তরীর বউ’ রাহিমা খাতুন হিসেবে। মেস্তুরি এখন আর এই পেশায় নেই। করেন ঘটকালি। দুই ছেলে ঢাকায় থাকে। সহায় সম্পদ অনেক। ঘরের চালের ওপরে আছে বিশাল আকৃতির ডিসের খাঁচা।
এলইডি টিভিতে শতাধিক চ্যানেল নিজেও দেখেন, প্রতিবেশীদেরও দেখান। সেই রাহিমা খাতুন পাচ্ছেন বিধবা ভাতা। স্বামী থাকলেও বিধবা কেন?- জানতে চাইলে রাহিমা বলেন, কি যে কইন, স্বামী তো ভাদাইম্যা। থাইক্যাও নাই। এর লাইগ্যাই তো বিধবা ভাতা পাই।
কথিত বিধবা এই রাহিমা হচ্ছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুরন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ ওরফে দুলাল মিয়ার স্ত্রী। বিধবা না হয়েও সমাজকল্যাণ অফিসের বিধবা তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। সেই দুই বছর ধরে টানা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন নির্ভিঘ্নে।
স্থানীয় ইউপি সদস্যরা (সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যসহ) এ কর্মের সাথে জড়িত। তবে এ ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করলেও কেউ দায়িত্ব নিতে চাননি। তবে রাহিমা বলেন, অফিসের লোকদের দিয়ে করিয়েছেন। স্থানীয় মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এসব বই করতে তাঁর কোনো স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়নি। অফিসের একটি চক্র টাকার বিনিময়ে এধরনের কাজ করেছে। নান্দাইল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী জানান, এধরনের অনেক বিষয়ই তাঁর কাছে এসেছে।
সকল বিষয়ই তদন্ত করে দেখা হবে।