এক লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি বিদেশি জাতের গাভী কিনে বিপাকে পড়েছেন মালিক। চোরাই গরু সন্দেহে পুলিশ ওই মালিকের কাছে এসে গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় একজনের কাছে একদিনের জন্য জিম্মায় রেখে গেলেও গত তিন দিনেও এর কোনো সুরাহা করতে পারেনি।
ফলে এ নিয়ে এলাকায় এখন প্রশ্ন- গরুর যদি মালিক থাকে তবে পুলিশ জিম্মায় রাখল কেন? এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর এলাকায়।
খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারের ভেতর গিয়ে জানা যায়, মো: তাইজুল ইসলামের বাসায় গরুটি রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম জানান, তিনি গত ২৬ আগস্ট মধুপুর বাজার থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে তিনি গাভীটি ক্রয় করেছেন।
বাড়িতে আনার পর গাভীটি বাচ্চা প্রসব করেছে। গাভীটি বিক্রি করেছেন পাশের নাউরী গ্রামের আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই গ্রামের নবী হোসেনের পুত্র। তাইজুল জানান, তিনি বিক্রেতা সালামকে ভালোভাবে চেনেন না। ইজারা রশিদে গাভীটি শনাক্ত করেছেন নাউরী গ্রামের কবিরুল ইসলাম বাচ্চু নামে এক ব্যক্তি। বিক্রেতা ছালাম ও কবিরুল দুজন একে অপরের পরিচিত।
নাউরী গ্রামে খোঁজ নিয়ে সালাম ও কবিরুলকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তারা দুজন পাশপাশি বাড়ির বাসিন্দা। গরু নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে ওই দুই ব্যক্তি বাড়িতে থাকছেন না। তাদের মোবাইল নম্বর চাইলে ছালামের স্ত্রী জানান, তার স্বামী মুঠোফোন ব্যবহার করেন না। কবিরুলের নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু সালেহ মোহামাদ বদরুজ্জামান মামুন জনোন, তিনি গরুর বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে কানাঘুষা শুনছেন। পুলিশ তাজুলের বাড়িতে আসে-যায় তা-ও দেখেছেন। তবে এ ব্যাপারে বেশি কিছু বলতে চাননি।
গরুটি ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আব্দুল লতিফ গ্রাম পুলিশ রুহুল আমীন ও স্থানীয় ব্যবসায়ী ফারুক মিয়ার কাছে লিখিতভাবে জিম্মায় দিয়েছেন। তারা দুজন জিম্মার কথা স্বীকার করে জানান, একদিনের জন্য জিম্মায় দিলেও গরু রয়েছে ক্রেতার বাসায়। কিন্তু এর মধ্যে তিন দিন পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গরু বিক্রেতা আব্দুস সালাম অনেক আগে থেকেই বির্তকিত, তাকে নিয়ে সমালোচনা আছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মোহাম্মদ বদরুজ্জামানের ফোন পেয়ে তিনি মধুপুর বাজারে একজন এসআইকে পাঠান।
এসআই সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে গরুটি গ্রাম পুলিশ সদস্য ছাড়া ও স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তদন্ত চলছে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।