নরসিংদীর মনোহরদীতে বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সন্ধায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাতে লাশ পাওয়া গেছে আরিফ (২২) নামে এক ব্যবসায়ীর। রবিবার (৬ই সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা গোতাশিয়া শুকুর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনের পেছন থেকে তার লাশ পাওয়া যায়। নিহত আরিফ গোতাশিয়া গ্রামের ওসমানের ছেলে। সে গোতাশিয়া মুন্সির বাজারের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী ছিলো।
এ ঘটনায় একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রুবেল (২৪) এবং উত্তর রথেরকান্দা গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে শরিফ (২২) নামের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আরিফের নানা সুলতান উদ্দিন জানান, রবিবার সন্ধা সাড়ে ৬টায় রুবেল মোটরসাইকেল নিয়ে আরিফের বাড়িতে আসে। এ সময় আরিফকে সাথে নিয়ে দুজন ঘুরতে বের হয়। রাত সাড়ে ৮টার পরও সে বাড়িতে না আসায় তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বাড়ির লোকজন নিয়ে পরিচিত বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকি।
তিনি আরো জানান, কিছুক্ষণ পর গোতাশিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজল মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, শুকুর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে এক মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে চেয়ারম্যানসহ পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে আরিফের মরদেহ চিহ্নিত করি। এ সময় তার হাত এবং কপালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
মনোহরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুল ইসলাম জানান, লাশের মাথা থেঁতলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত আরিফ এবং এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তারা মাদকাসক্ত ছিল। এ ঘটনায় নিহতের নানা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আজ (সোমবার) দুপুরে রুবেল এবং শরীফ নামে দুজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।