ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) এক মুক্তিযোদ্ধার আবেদনের প্রক্ষিতে ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনে দেশপ্রেমের এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ছবিতে হুইলচেয়ারে বসে থাকা মানুষটি ১৯৭১ সালের রণাঙ্গের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বয়সের ভারে আজ নুহ্য তিনি। কারও সহযোগিতা বা হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরা করাটা প্রবীণ এই বীরের জন্য বেশ দুস্কর। একটি অভিযোগের কাগজ হাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে বসে অপেক্ষা করছেন।
চোখের সামনে দিয়ে নানা শ্রেণী পেশার মানুষকে বিভিন্ন সমস্যা বা দাবিদাওয়ার সমাধান খোঁজতে দোতলায় ইউএনও’র অফিস রুমে আসতে যেতে দেখেন। নিজের সমস্যার কথা জানানোর জন্য একাএকা উপরে যেতে পারছেন না তিনি।
কেউ একজন ইউএনও’র রুমে ঢুকে হুইল চেয়ারে বসে থাকা একজন বীরের আসার বিষয়টি ইউএনও’কে জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে কার্যালয়ে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপস্থিত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে তিনি নীচে ছুটে যান।
প্রবীন মুক্তিযোদ্ধার বাসা উপজেলা পরিষদের বিপরীত দিকেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থার জটিলতায় গত কয়েক বছর ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমানের বর্ষা মৌসুম কাটে চরম দুর্ভোগে। বাসার অভ্যন্তরে ও বিভিন্ন কক্ষে পানি প্রবেশ করে।
মুক্তিযোদ্ধার বাসা এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর কর্তৃক ড্রেন নির্মাণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় সমাধানের জন্য ছুটে আসেন তিনি। পরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে হালট পরিমাপ করে জমি নির্ধারণ করতে এসিল্যাণ্ডকে নির্দেশনা প্রদান করেন ইউএনও । একই সাথে ডিজাইন অনুযায়ী ড্রেন নির্মাণকাজ সমাপ্ত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে নির্দেশনা প্রদান করেন সরকারি এই কর্মকর্তা।