নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার গুমাই নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি পাঁচ শিশু ও তিন নারীসহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার হওয়ার তিনদিন পর এক শিশুসহ আরো দুই জনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গুমাই নদী সংলগ্ন হলদির হাওর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহতরা হলো, পাশের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানা সদর ইউনিয়নের ইনায়তনগর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে রতন মিয়া (৩২) ও একই গ্রামের আব্দুল ওহাবের পাঁচ বছরের শিশুকন্যা মনিরা আক্তার।
এ ট্রলারডুবি ঘটনায় এ নিয়ে ছয় শিশু ও তিন নারীসহ ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত যে ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ১১ জনই পাশের সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাসিন্দা এবং তাঁদের মধ্যে সাত জনেই দুইটি পরিবারের সদস্য।
জানা যায়, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে নেত্রকোনার কমলাকান্দা উপজেলার গুমাই নদীতে ৩০-৩২ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিনই ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
কলমাকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মো. সিরাজুল ইসলাম নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রতন মিয়া ও শিশু মনিরা আক্তারের ভাসমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুল ওয়াহাব বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং মামলার পরপরই এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।