গোপন সংবাদের ভিক্তিতে সিআইডি পাবনা কার্যালয়ের সহকারি পুলিশ সুপার ওয়ালিউল ইসলামের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামসহ একটি অভিযানিক দল শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে সিলেট সিলেট শহর এলাকা থেকে মামালার এজাহার নামীয় ১০ নং আসামী হামজালালকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত হামজালাল হান্ডিয়াল ইউনিয়নের খাঁর পুকুর এলাকার সাদ্দাম হোসেনের ছেলে।
সিআইডি পাবনা কার্যালয়ের সহকারি পুলিশ সুপার ওয়ালিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে ৭দিনের রিমান্ড আবেদনসহ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান এই মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুন বিকেলে মোবাইলে গেম খেলার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাবিবকে কয়েকজন সন্ত্রাসী এলোপাথারী কুপিয়ে যখম করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
তারপর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়ন করা হয়। পরে হাবিবের পিতা মো. আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ১১জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৮/২০জনকে আসামী করে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু মামলাটি জটিলতা দেখা দিলে সিআইডি পাবনা জেলা কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময় নিহত হাবিবের পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর প্রতিবাদে ১৭ জুন ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ, নারী পুরুষ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ একত্রিত হয়ে বিশাল মানববন্ধন করেন। তারপরও আসামী ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যায়। তাই ভূক্তভোগী পরিবার নিরুপায় হয়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে তাদের বাসায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
মানববন্ধনে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।