এর আগে রোববার রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ ইউনিয়নের মোজাফফরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের উত্তর ফরিদুপর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার মেয়ে শিউলী বেগমকে ৩ বছর আগে মোজাফফরপুর গ্রামের ফয়জার রহমানের ছেলে বিপুল মিয়া রিমুর সঙ্গে বিয়ে হয়।
এসময় মেয়ের সুখের সংসারের জন্য লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আসবাপত্র উপহার হিসেবে দেন পিতা ফেরদৌস মিয়া। এরপর শিউলী বেগমের সংসার জীবন কিছুমাস ভালোই যাচ্ছিলো। বিধিবাম, বছর খানেক পর স্বামী রিমু মিয়া আবারও শিউলীর কাছে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে।
তার এ দাবি পুরণ করতে না পারায় প্রায়ই শিউলীর উপর নেমে আসে অমানসিক নির্যাতন। ধারাবাহীকতায় রোববার রাতে স্বামী রিমু মিয়া যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শিউলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বলন্ত সিগারেট ও গরম খুন্তি দিয়ে ছেঁকা দেয়। এসময় শ্বশুর ফয়জার রহমান ও শাশুরী রিনা বেগম উত্তেজীত হয়ে শিউলীকে হত্যার চেষ্টায় বেধরক মারপিটও করে।
এতে সজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে শিউলী বেগম। এ ঘটনার খবর পেয়ে শিউলীর পিত্রালয়ের স্বজনরা সোমবার সকালে শিউলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে যখমী যন্ত্রণায় ছটফট করছে শিউলী বেগম।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহীনুল আলম বলেন, শিউলীর শারীরিক অবস্থা এখনো উন্নতি হয়নি। তাকে সুস্থ করতে সুচিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।