অন্য রকম এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয়েছে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে। দীর্ঘ দুই বছর কর্মকালীন এ পুলিশ সুপারের সুনামের কোনো কমতি ছিল না।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথাগতভাবে বিদায় দেয়া হয় বিদায়ী পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বিপিএমকে (বার)।
বিদায়ের আগে এসপি মাসুদ হোসেনকে জেলা পুলিশের ব্যান্ড পার্টিসহ নানা ফুলে সজ্জিত গাড়িতে ফুলের রশি বেঁধে পুলিশলাইনস থেকে জানানো হয় বিদায়।
স্থানীয়দের মতে, বিদায় নেয়া পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) কক্সবাজারে সততার দৃষ্টান্ত রেখেছেন। পাশাপাশি নিজের কর্মদক্ষতা দিয়ে মাদক, মানবপাচার, ডাকাতি, জলদস্যুতার মতো জঘন্য ঘটনা অনেকটাই রোধ করেছেন। যে কারণে তার প্রতি জেলাবাসীর আস্তা ও বিশ্বাসের কমতি ছিল না।
কিন্তু ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে পুলিশ কর্তৃক গুলি করে হত্যার ঘটনায় সব অর্জন চাপা পড়ে যায়।
টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপের নানা কুকর্ম পুরো বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তার পরও শেষ মুহূর্তে সততার পুরস্কার নিয়ে গেছেন এসপি মাসুদ।
কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ অনেক সামাজিক সংগঠন তাকে সংবর্ধনা দিয়ে বিদায় জানিয়েছেন।
এদিকে স্বাভাবিকভাবে যে কোনো পুলিশ সুপারের বিদায়ের চেয়ে মাসুদ হোসেনের বিদায়টি ছিল ভিন্ন আয়োজনে।
এ সময় সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম উপস্থিত ছিলেন।
এসপি মাসুদ হোসেনকে বিদায় দেয়ার সময় জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং সব কর্মচারীর মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে বদলি করা হয়েছে রাজশাহীর জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নতুন কর্মস্থলে যোগদানের কথা রয়েছে।